পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৬১ )

পরামর্শানুসারে কিয়দ্দিবসের জন্য সমুদ্র তীরস্থ ব্রাইটন্ নগরে বাস করেন। একদা তিনি সমস্ত রাত্রি পীড়ার অসহ্য যাতনা ভোগ করিয়া প্রত্যুষে গবাক্ষ দ্বারের সন্নিকটে উপবিষ্ট আছেন, এমন সময়ে এক জন সাগরতীরবাসী প্রহরী তাঁহার নয়ন পথে পতিত হইল তাহাকে দেখিয়া তাঁহার চিত্তে দয়ার সঞ্চার হয়। অধ্যয়ন ব্যতিরেকে নির্জ্জনবাসিদের অন্তঃকরণে সুস্থতা লাভের অন্য উপায় নাই; এই ভাবিয়া তিনি তাহাদিগের আবাসে উপযুক্ত পুস্তক সংগ্রহ করিয়া দিতে একান্ত যত্নবতী হইলেন। নয় বৎসর কাল চেষ্টা করিয়া অবশেষে প্রত্যেক সমুদ্রকূলবাসী প্রহরিদিগের আবাসবাটীতে বিবিধ পুস্তক পূর্ণ এক একটী পুস্তকালয় সংস্থাপন করেন।

 অতঃপর ফ্রাই ধর্ম্মপ্রচারার্থ স্কটলণ্ড, আয়ার্লণ্ড ও তৎসন্নিহিত দ্বীপ সমূহে পর্য্যটন করতঃ তত্রত্য কারাগার, বাতুলনিবাস ও চিকিৎসালয় প্রভৃতির বিলক্ষা উৎকর্ষ সাধন করিলেন। তিনি যে স্থানে যাইতেন, সেই খানেই যথেষ্ট সম্মান লাভ সহকারে দেশহিতকর কার্য্যাদির নিয়ম প্রণালীর পরীক্ষা করিতেন। কার বাসী অপরাধিদিগের প্রতি ধর্ম্মোপদেশ প্রদান ও তত্তদ্দেশীয় প্রত্যেক সভায় গমন না করিয়া স্বদেশে প্রত্যাগত হইতেন না। কিছুদিন পরে তিনি পারিস্‌ নগরে উপস্থিত হন। তাহাতে তথাকার রাজমহিষী ও প্রধান প্রধান ভূম্যধিকারিরা তাঁহাকে যথোচিত সম্মাননা করেন। তিনি দেশহিতৈষী