পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৬৪ )

হইয়া পড়িল। তজ্জন্য সকলেই অনিষ্ট আশঙ্কা করিয়া তাঁহাকে শ্রমসাধ্য কার্য্য হইতে নিরস্ত থাকিতে ভূয়োভূয়ঃ অনুরোধ করিতে লাগিল; কিন্তু তিনি কিছুতেই ক্ষান্ত হইতে পারিলেন না। কিছুকালের পর কিঞ্চিৎ স্বাস্থ্য লাভ করিলেন বটে, কিন্তু অনতিকাল বিলম্বেই পুনর্ব্বার পীড়াক্রান্ত হইলেন। বার্দ্ধক্য দশায় পুনঃ পুনঃ পীড়িত হওয়া মঙ্গল জনক নহে; ইহা ভাবিয়া তাঁহার আত্মীয় স্বজনেরা, প্রতিক্ষণেই অসুখী হইতে লাগিলেন। তখন চতুর্দ্দিক হইতে কি পরিচিত, কি অপরিচিত, সহস্র সহস্র ব্যক্তি তাঁহাকে দেখিবার নিমিত্ত, তদীয় অবাসে আগমন করিতে লাগিল।

 ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দে তাঁহার বান্ধবেরা, সমুদ্রবায়ু সেবনার্থ, তাঁহাকে সাগর তীরের এক বাটীতে লইয়া গেলেন; কিন্তু তাহাতে কিছুমাত্র উপকার দর্শিল না, বরং উত্তরোত্তর পীড়ার বৃদ্ধি হইতে লাগিল। তখন তিনি মৃত্যুকাল সন্নিকট জানিতে পারিয়া, ঈশ্বরের করে আত্মসমর্পণ করিলেন। একদা পীড়ার অত্যন্ত বৃদ্ধি হওয়াতে তিনি আপন পরিচারিণীকে নিকটে ডাকিয়া কহিলেন ‘‘মেরি! আমার অতিশয় যাতনা হইতেছে, বোধ করি অধিক কাল আর ইহলোকে থাকিতে হইবে না। তুমি আমার জন্য ঈশ্বর সন্নিধানে প্রার্থনা কর’’। অতঃপর তাঁহার সকল অঙ্গ নিশ্চেষ্ট হইয়া আসিল, যাতনায় অধৈর্য্য হইলেন, তখন তাঁহার একটী কন্যা, তদীয় শয্যার পার্শ্বে