পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ve क्रिीनि८ठड्ग जबद्धिकथा হইতে একখানা চিঠি আসিয়া হাজির হইল যে, যুগান্তরে যেরূপ লেখা বাহির হইতেছে তাঙ্গ রাজদ্ৰোহ-সূচক । ভবিষ্ণুতে ওরূপ করিলে আইনের কবলে পড়িতে হবে। আমরা ত হাসিয়াই অস্থির । আইন কিরে, বাৰা ? আমরা ভারতের ভাৰী সম্রাট, গবৰ্ণমেণ্ট হাউসের উত্তরাধিকারী-আমাদের আইন দেখায় কেটা ? একদিন কিন্তু সত্য সত্যই পালে বাঘ পড়িল। ইন্সপেক্টর পূর্ণ লাহিড়ী জনকত কন্সটেবল লইয়া যুগান্তর অফিসে খানাতল্লাসী করিতে আসিলেন। যুগান্তরের সম্পাদককে গ্ৰেপ্তার করিবার পরওয়ানাও তার সঙ্গে ছিল। কিন্তু সম্পাদক কে ? এ বলে “আমি” ; ও বলে “আমি” ৷ শেষে ভূপেনই একটু মোটা ও তাহার বেশ মানানসই রকমের দাড়ি আছে বলিয়া, তাহাকেই সম্পাদক বলিয়া স্থির করা হইল। ভূপেন আদালতে সাফাই গাহিয়া আপনাকে বঁাচাইতে চেষ্টা যখন করিল না, তখন দেশে ছেলে ছোকরাদের মধ্যে একটা খুব হৈ চৈ পন্ধিয়া গেল । এ একটা নূতন আজগুবী কাণ্ড বটে । ভূপেন যাহাতে "শ্রুটি স্বীকার করিয়া নিস্তৃতি পায়, সরকারী পক্ষ হইতে সে চেষ্টা করা হইয়াছিল, কিন্তু ভূপেন রাজী হইল না। ফলে ম্যাজিষ্ট্রেট কিঙ্গিসফোর্ড তাহাকে এক বৎসরের জন্য জেলে ঠেলিয়া দিলেন । এই সময় হইতে দেশে রাজদ্রোহের মামলার ধূম লাগিয়া গেল । দুই সপ্তাহ যাইতে না যাহতেই যুগান্তরের উপর আবার মামলা সুরু হইল এবং যুগান্তরের প্রিন্টার বসন্তকুমারকে জেলে যাইতে হইল। একে একে এরূপে অনেকগুলি ছেলে জেলে যাইতে লাগিল । তখন বারীন্দ্ৰ বলিল- “এরূপ বৃথা শক্তিক্ষয় করিয়া লাভ নাই।. বাক্যবাণে বিদ্ধ করিয়া গবৰ্ণমেণ্টকে ধরাশায়ী করিবার কোনই সম্ভাবনা দেখি না। এতদিন যাহা প্রচার করিয়া আসিলাম, তাহা এইবার