পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ নির্বাসিতের আত্মকথা কড়া হইতে নামিল তখন আর তাহাকে মোচার ঘণ্ট বলিয়া চিনিবার জো নাই। দিব্য তোফা কাল রং আর চমৎকার পেয়াজের গন্ধ ! খাইবার সময় হাসির ধূম পড়িয়া গেল। বারীন্দ্ৰ বলিল—“হী, দাদা (qù Esti chef-de-cuisine cÈ |” দিদিমা আমার এমনটী রাধিতে পারত না ।” হেমন্দা হটবার পাত্ৰ নহেন। তিনি বলিলেন-“ঐ ত তোমাদের রোগী ! তোমরা সবাই দিদিম-পন্থী । দিদিমা যা করে গেছেন তা আর বদলাতে চাও না।” মোচার ঘণ্ট যে দিন রন্ধনের গুণে মোচার কাবাব হইয়া দাড়াইল, তাহার দিন কতক পরে একবার সুক্ত রাধিবার প্রস্তাব উঠিয়াছিল। কিন্তু সুক্ত রাধিবার সময় কি কি মসলা দিতে হয় সে বিষয়ে মতদ্বৈধ রহিয়া গেল । হেমন্দা’ বলিলেন সে তরকারীর মধ্যে এক আউন্স কুইনাইন মিক্সচার ফেলিয়া দিলেই তাহা সুক্ত হইয়া যায়। আমাদের দেশের যে সমস্ত নবীন গৃহিণীরা পাঁচখণ্ড পাকপ্ৰণালী কোলে করিয়া রাধিতে বসেন তাহারা সুক্ত রাধিবার এই অভিনব প্ৰণালীটি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারেন। ব্যাপারটা যদি সত্য হয় তাহা হইলে এই ম্যালেরিয়া-প্ৰপীড়িত দেশে তাহারা একাধারে আহার ও পথ্যের আবিষ্কার করিয়! আমার হইয়া যাইতে পরিবেন। দাদারও জয় জয়কার পড়িয়া যাইবে । বঁধিবার জন্য আমরা জেল হইতে কিছু কিছু তরকারী লইতাম, তবে তাহার মধ্যে চুবড়ী আলু ও কচুই প্রধান। কাজে কাজেই বাজার হইতে মাঝে মাঝে অন্য তরকারী আনাইয়া লইতে হইত। সরকার বাহাদুরের নিয়মানুযায়ী আমরা মাসিক বেতন পাইতাম বারো আনা । আমরা শারীরিক দুর্বল ছিলাম বলিয়া জেলের কর্তৃপক্ষগণ আমাদের প্ৰত্যেককে বারো আউন্স করিয়া দুধ দিয়া তাহার আংশিক মূল্য স্বরূপ