পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sor নির্বাসিতের আত্মকথা । বড় বিশেষ কিছু ছিলও না । পোটব্লেয়ার হইতে আসিবার সময় বইটই। সমস্ত নূতন নূতন ছেলেদের মধ্যে বিলাইয়া দিয়া আসিয়াছিলাম। স্থির করিয়াছিলাম দেশে ফিরিয়া আর মা সরস্বতীর সহিত কোন সম্বন্ধ রাখা হইবে না। চুপ করিয়া শুধু দুটি ভাত খাইব আর পড়িয়া থাকিব। ঘণ্টা খানেক জেলে থাকিবার পর সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট আসিয়া । উপস্থিত হইলেন। সেদিন শনিবার। আমরা ভাবিয়ছিলাম সেদিন ও তাহার পরদিন বুঝি আমাদের জেলেই থাকিতে হইবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট ঘর হইতে বাহির হইয়া আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন-“তোমরা বোধ হয়। আজই বাহিরে যাইতে চাও ? কলিকাতায় তোমাদের থাকিবার জায়গা আছে ?” বাহিরে যাইবার নাম শুনিয়া আমরা লাফাইয়া উঠিলাম। মুখে বলিলাম—“জায়গা যথেষ্ট আছে, আর মনে মনে বলিলাম-“জায়গা না পাঠ রাস্তায় শুয়ে থাকবো ; qकदi (छ05 ऊ iि8 ।” সে রাত্রে হেমচন্দ্ৰ, বারীন্দ্র ও আমি ছাড়া পাইলাম। কিন্তু যাই কোথায় ? শ্ৰীযুক্ত সি, আর, দাসের বাড়ী গিয়া দেখিলাম। তিনি বাড়ী নাই ; তখন সেখান হইতে ফিরিয়া হেমচন্দ্রের বন্ধু হাইকোটের উকিল শ্ৰীযুক্ত সাতকড়িপতি রায়ের বাড়ীতে গিয়া আতিথ্য গ্ৰহণ করিলাম। হেমচন্দ্র ও বারীন্দ্র সে রাত্রে সেইখানেই রহিয়া গেল। আর আমি চন্দননগরে বাড়ী যাওয়াই স্থির করিলাম। ভাবিলাম রাত ১০৷০ টার সময় হাবড়ার ষ্টেশনে গিয়া ট্রেন ধরিব । = = কিন্তু বাড়ীর বাহির হইয়া দেখিলাম যে কলিকাতার রাস্তাঘাট সব ভুলিয়া গিয়াছি। ঘুরিতে ঘুরিতে যখন হাবড়া ষ্টেশনে আসিয়া হাজির হইলাম, তখন ট্রেন ছাড়িয়া গিয়াছে। ভবানীপুরে ফিরিয়া যাইবার আর প্রবৃত্তি হইল না। শ্যামবাজারে শ্বশুর বাড়ী-ভাবিলাম সেই খানে গিয়া,