পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSo নির্বাসিতের আত্মকথা অনুমতি পাইয় তাহাকে একটা দীর্ঘ সেলাম দিয়া আবার ; : হইলাম। সেই রাত্রে রাত একটার সময় গাড়ী চড়িয়া যখন শু্যামন গ': , ষ্টেশনে আসিয়া পৌছিলাম, তখন রাত দুইটা বাজিয়া গিয়াছে। নৌকায় গঙ্গাপার হইয়া যখন নিজেদের পাড়ার ঘাটে আসিয়া নামিলাম, তখন রাত প্ৰায় তিনটা ; রান্তা-ঘাট একেবারে জনশূন্য ; টিম টম করিয়া স্ত্র। ওর মোড়ে মোড়ে এক একটা কেরোসিনের বাতি জ্বলিতেছে। বাড়ীর । সন্মুখে গিয়া দেখিলাম, বাড়ীর চেহারা সম্পূর্ণ পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গিয়াছে। জানালায় ধাক মারিয়া ভায়াদের নাম ধরিয়া ডাকিতে ডাকিতে , , , , জানােলা খুলিয়া গেল আর ভিভর হইতে হৰ্যোন্বেগা-চঞ্চল একটী সু- চিত্ৰ । বাম-কণ্ঠে প্রশ্ন হইল-“তুমি কে ?” সঙ্গে সঙ্গে আর একটা জ’ – খুলিয়া মা ঐ একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলেন। যাহার আশা সকলই ? ছাড়িয়া দিয়াছে, সে যে আবার ফিরিয়া আসিয়াছে। এ কথা বি :- করিতে যেন কাহারও সাহসে কুলাইতেছে না। ’ ": * বাড়ীর ভিতর চারিদিকে একটা ছুটাছুটি পড়িয়া গেল। এক ‘ · ছেলে আসিয়া চোখ মুছিতে মুছিতে আমার চারিদিকে ঘিরিয়া দাড়াইল। কারা এরা ? ইহাদের কাহাকেও যে চিনি না। একটি ছোট ছেলে একটু দূরে দাড়াইয়া হাঁ করিয়া আমার মুখের দিকে চাহিয়া ছিল। আখ্যার ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ তাহার সহিত আমার পরিচয় করাইয়া দিয়া বলিল-“এই আপনার ছেলে ।” যাহাকে দেড় বৎসরের রাখিয়া গিয়াছিলাম, সে আজ তের বৎসরের হইয়াছে। ག আবার নূতন করিয়া সংসারের খেলা-ঘর পাতিয়া বসিলাম। 0 ওগো খেয়াপারের কর্ণধার! এবার কোন কুলে পাড়ি দিবে? حيح مجحسسهم حصل عمسيس * ** es a otros