পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ q-...scar মাণিক তলার বাগানে যখন আশ্রমের সূত্রপাত হইল। তখন সেখানে চারপাঁচ জনের অধিক ছেলে ছিল না । হাতে একটিও পয়সা নাই, ছেলেরা সকলেই বাড়ী ঘর ছাড়িয়া আসিয়াছে, সুতরাং, তাহদের ম{ বাপদের কাছ থেকেও কিছু পাইবার সম্ভাবনা নাই। অথচ ছেলেদের আর কিছু জুটুক আর নাই জুটুক, দুবেলা দু’মুঠ ভাত ত চাই! দু একজন বন্ধু মাসিক কিছু কিছু সাহায্য করিতে প্রতিশ্রুত হইলেন আর স্থির হইল যে, বাগানে শাক সঞ্জীর ক্ষেত করিয়া বাকি খরচটা উঠাইয়া লওয়া হইবে । বাগানে আম, জাম, কঁাটালের গাছ ও যথেষ্ট ছিল । সেগুলা জমা দিয়া ও কোন না দু দশ টাকা পাওয়া যাইবে ? আর আমাদের খাইতেও বেশী খরচ নয় ভাতের উপর ডাল আর একটা তরকারী। অধিকাংশ দিনই আবার ডালের মধ্যেই দুই চরিটা আলু ফেলিয়া দিয়া তরকারীর অভাব পুরাইয়৷ লওয়া হইত। সমস্নাভাব হইলে খিচুড়ীর ব্যবস্থা। একটা মস্ত সুবিধা হইল। এই যে, বারীন তখন ঘোরতর ব্রহ্মচারী। মাছের অংশ বা পেঁয়াজের খোসাটী পৰ্যন্ত বাগানে ঢুকিবার হুকুম নাই ; তেল, লঙ্ক! একেবারেই নিষিদ্ধ। সুতরাং খরচ কতকটা কমিয়া গেল । উপার্জনের আরও একটা পথ বারীন্দ্ৰ আবিষ্কার করিয়া ফেলিল-- হাঁস ও মুরগী রাখা। কতকগুলা হাঁস ও মুরগী কেনাও হইয়াছিল; কিন্তু দেখা গেল যে, তাহদের ডিম ত পাওয়া যায় না ; অধিকন্তু তাহদের ংখ্যা দিন দিন কমিতেছে। কতক শেয়ালে খায় কতক বা লোকে চুরি করে। অধিকন্তু আমাদের পাড়াপাড়শীদের আমাদের বাগানে মুরগী