পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ వt শুনিলাম নেপালে সাধুদের দোর্দণ্ড প্ৰতাপ । ক্ষুধায় কাতর হইলে সাধুরা যে কোন স্থান হইতে আহাৰ্য্য উঠাইয়া লইতে পারেন। তাহার জন্য তঁহার রাজদ্বারে দণ্ডণীয় হ’ন না । “ধুনি সাহেবে উপস্থিত হইয়া দেখিলাম-চারিদিকে শুধু শাল বন অ্যর শাল বন! একজন উদাসী সাধু-বাবা গ্ৰীতম দাস-বহুকাল পূৰ্ব্বে এইখানে সিদ্ধিলাভ করেন বলিয়া তঁহার ধুনি আজ অৰ্য্যন্ত সেখানে জ্বলিতেছে ; এবং সেই ধুনি হইতেই এইস্থানের নামকরণ হইয়াছে। অনেক রকম অদ্ভুত অদ্ভুত গল্প শুনিলাম। বাবা গ্ৰীতম দাসের দুই শিষ্য তাহার নিকট হইতে আম খাইতে চাহিলে তিনি সিদ্ধির বলে দুটা শাল গাছে আম ফলাইয়া দিয়াছিলেন ; আর সেই অবধি সেই দুটি শাল গাছে নাকি এখনও দুই একটা আম ফলে । গঞ্জিকাসিদ্ধি কি সোজা কথা । v তিন দিন সেই সিদ্ধপুরীতে বাস করিয়া আবার নরলোকে ফিরিয়া আসিলাম। বাকীপুরে আমাদের দুই চারিজন বন্ধুবান্ধব জুটিয়াছিলেন। তাহারা রাজগৃহে আমাদের থাকিবার জন্য মঠ বানাইয়া দিতে চাহিলেন কিন্তু বাংলাদেশের মাটী আমাদের নাড়ী ধরিয়া টানিতেছিল। আমরা রওনা হইয়া পড়িলাম। ফিরিবার পথে একখানা কাগজে পড়িলাম 6 গ্লকার ম্যাজিষ্ট্রেটকে কে গুলি করিয়াছে। বুঝিলাম এবার শ্ৰাদ্ধ বাগানে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলাম বারীন সেখানে নাই। সে কংগ্রেস উপলক্ষে সুরােত গিয়াছে। সুরাতে যে সেবার একটা লঙ্কাকাণ্ড ঘটবে তা’ মেদিনীপুরের কনফারেন্সে গিয়াই বুঝিতে পারিয়াছিলাম! দুই একদিন পরে বারীন ফিরিয়া আসিল। সুরাতে নরম, গরম, অতি-গরম সব রকম নেতারাই একত্র হইয়াছিলেন। তঁহাদের সহিত