পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RV নিৰ্বাসিতের আত্মকথা কথাবাৰ্ত্ত কহিয়া বারীন যাহা সারা সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছে তাহা সে এক কথায় বলিয়া দিলে-“চোর ; বেটার চোর।” সমস্বরে আমরা সকলেই ধ্বনি করিয়া উঠিলাম “কেন ? কেন ? কেন ?” বারীন বলিল—“এতদিন স্যাঙ্গীতের পটি মেরে আসছিলেন, যে তঁরা সবাই প্ৰস্তুত ; শুধু বাংলাদেশের খাতিরে তঁরা বসে আছেন। গিয়ে দেখি না। সব টুটু। কোথাও কিছু নেই; শুধু কৰ্ত্তারা চেয়ারে বসে বসে মোড়লি কচ্ছেন। দু একটা ছেলে একটু আধটু করবার চেষ্টা করছে, তাও কৰ্ত্তাদের লুকিয়ে। খুব কসে ব্যাটাদের শুনিয়ে দিয়ে এসেছি।” চিরকাল শুনিয়া আসিতেছি। বগীরা একেবারে খাপ খুলিয়া বসিয়৷ ৷ আছেন ; আর আজ এই সব ফন্ধিকারের কথা শুনিয়া মনটা বেশ খানিকটা দমিয়া গেল। কিন্তু বারীন বলিল “কুছ পরোয়া নেই। ওরা যদি সঙ্গে এল ত এল ; আর তা যদি না হয়-“ত একলা চলরে’। আমরা বাঙলা দেশ থেকেই পাঁচ বছরের মধ্যে গেরিলা যুদ্ধ আরম্ভ করে দেব। লেগে যাও সব আজ থেকে ছেলে । জোগাড় করতে ।” সুতরাং চারিদিক হইতেই একটা হৈ হৈ রৈ াৈর সাড়া পড়িয়া গেল। ক্ৰমাগতই নূতন নূতন ছেলে আসিয়া জুটিতে লাগিল; কিন্তু আমাদের পিছে যে পুলিস লাগিয়াছে। এ সন্দেহ করিবারও নানা কারণ ঘটল । ছেলেদের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে রাখিবার চেষ্টাও হইল, কিন্তু অতগুলা ঘাড়া ভাড়া করিবার পয়সা কোথায় ? ছেলেদের খাইবার পয়সা জোটাই যে মুস্কিল! শেষে বৈদ্যনাথের কাছে মাঠের মাঝখানে একটা ছোট বাড়ী ভাড়া করিয়া সেই খানেই বোমার আড় উঠাইয়া লইয়া যাওয়া স্থির