পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ ԳՓ দিলেন, তখন নিজের মধ্যে কোন অবলম্বনই খুজিয়া পাইলাম না । একটা অজ্ঞাতপূৰ্ব্ব আশ্রয় পাইবার জন্য চঞ্চল হইয়া উঠিলাম ; প্ৰাণটা কাতর হইয়া বলিতে লাগিল-“রক্ষা কর, রক্ষা কর” । । বিপদে পড়িলে আর কিছু লাভ না হোক, মানুষ নিজেকে চিনিবার অবসর পায়। কঠোর নিষ্পেষণের মধ্য দিয়া ধীরে ধীরে তাঁহাই আরম্ভ হইল। সেসন্স কোর্টের রায় বাহির হইবার পর হইতেই আমাদের পায়ে বেড়ী লাগাইয়া “কুঠরীর মধ্যে ফেলিয়া রাখা হইল। সমস্ত দিন চুপ ? করিয়া বসিয়া থাকিবার সময় এক একবার মনে হইত যেন পাগল হইয়া গেলাম। মাথার ভিতর উন্মত্ত চিন্তার তরঙ্গ যেন মাথা ফাটাইয়া বাহির হইবার চেষ্টা করিতেছে। সমস্ত দিন কাহারও সহিত কথা কহিবার ८स्था नश्ले । একদিন সন্ধ্যার সময় এইরূপ চুপ করিয়া বসিয়া আছি। এমন সময় পাশের কুঠরীতে একটী ছেলে চীৎকার করিয়া গান গাহিয়া উঠিল। তাল মান লয়ের সহিত সে গানের বড় একটা সম্বন্ধ নাই ; কিন্তু সে গান শুনিয়া খুব এক চোট হো হো করিয়া হাসিয়া আর মাটীতে গড়াগড়ি দিয়া যে আমার প্রচণ্ড মাথাধরা ছাড়িয়া গিয়াছিল তাহা বেশ মনে পড়ে। গান শুনিয়া চারিদিক হইতে ইউরোপীয় প্রহরীরা ছুটয়া আসিল; এবং পরদিন সুপারিনটেনডেন্ট সাহেবের বিচারে বেচারার tiffs biately fis ( Penal diet ) iëzit grg zëri আর একটী ছেলে একদিন দেওয়াল হইতে চুণ খসাইয়া দরজার ਸ਼ ff fris-Long live Kanailal !”-TSRS sista जाऊा झ्छेन । প্রহরীদের মধ্যে সকলেই আমাদের জব্দ করিবার চেষ্টায় ফিরিত ; কিন্তু দু একজন বেশ ভালমানুষও ছিল। আমাদের মধ্যে যাহারা সাজ