পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ ዓ¢ প্রহরী যতেক বেটা বুদ্ধিতে ত বোকা পাটা দিন রাত দেয় গালাগালি ৷ আমাদের সে সময় কাজ ছিল পাট-ছেড়া । মাঝে মাঝে এক আধটা বেশ ভাল কবিতাও নজরে পড়িত । আমার মনের ফদে কবিতা প্ৰায় ধরা পড়ে না ; কিন্তু এই দুই ছত্র কিরূপে আটকাইয়া গিয়াছিল “রাধার দুটি রাঙ্গা পায়— ख्ान्लु °Cफु6छ् ६शा--- উঠে ভাসে কত বিশ্ব চিদানন্দে মাতোয়ারা’ হায়রে মানুষের প্রাণ ! জেলের কুঠুরীর মধ্যে বন্ধ থাকিয়াও রাধার দুটা রাঙ্গা পায় আছাড় খাইয়া পড়িতেছে । সেসন্স কোর্টে রায় বাহির হইবার পর হইতেই হাইকোর্টে আমাদের আপিলের শুনানি চলিতেছিল । নভেম্বর মাসে রায় বাহির হইল। উল্লাসকর ও বারীদ্রের ফাঁসির হুকুম বন্ধ হইয়া যাবজীবন দ্বীপান্তর বাসের হুকুম হইল। অনেকের কারাদণ্ড কমিয়া গেল, কেবল হেমচন্দ্রের ও আমার যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরের দণ্ড পূর্ববৎই রহিয়া গেল । পাছে দড়ি পাকাইয়া ফাসি খাই সেই ভয়ে আমাদের পাট ছিড়িতে | দেওয়া বন্ধ হইয়া গেল।

  • অল্পদিনের মধ্যেই যাহারা দ্বীপান্তর দণ্ডে দণ্ডিত, তাহারা ভিন্ন অপর সকলকে ভিন্ন ভিন্ন জেলে পাঠাইয়া দেওয়া হইল। আমরা আণ্ডামানের জাহাজের প্রতক্র্যাশায় বসিয়া রহিলাম ।