পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ላbሦ নির্বাসিতের আত্মকথা । আমাশয়ে ভুগিতে ছিলাম বলিয়া আমাদের আরও কিছু দিনের জন্য । অপেক্ষা করিতে হইল । সাধারণ কয়েদীর পক্ষে নিয়ম এই যে একবার রোগের জন্য আন্দামান যাওয়া বন্ধ থাকিলে আরও তিন মাস অপেক্ষা করিতে হয় ; কিন্তু আমাদের বেলা সে আইন খাটিল না। সরকার বাহাদুরের আদেশ ক্রমে আমাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যেই পাঠাইয়া দেওয়া হইল। কারাগৃহ হইতে একবার দেশকে শেষ দেখা দেখিয়া লইলাম। একদিন ভোরবেলা আমাদের হাতে হাতকড়ি লাগাইয়া আমাদের একখানা গাড়ীতে চড়ান হইল। দুই পাশে দুইজন সার্জেণ্ট বসিল ; আর গাড়ী খিদিরপুর ডকের দিকে ছুটিল। জাহাজে উঠাইয়া দিয়া একজন সার্জেণ্ট বিদ্রুপ করিয়া বলিলNow say, "my native land, farewell. Wils & fit firi --Au revoir ৷ বলিলাম বটে, কিন্তু ফিরিবার আশাটা নিতান্তই জবরদস্তি মনে হইতে লাগিল । রাজনৈতিক কয়েদী আমরা শুধু দুই জন মাত্র ছিলাম—সুধীর ও আমি । জাহাজের খোলের মধ্যে একটা কামরায় আমরা ছিলাম ; অপর কামরায় অন্যান্য কয়েদী ছিল। জাহাজের একজন বাচ্ছা কৰ্ম্মচারী আসিয়া আমাদের ফটাে তুলিয়া লইল। বিলাতের কোন কাগজে সে এই সমস্ত ফটো ছাপিবার জন্য পাঠাইয়া দেয়। কথাটা শুনিবা মাত্র আমি পাগড়ীটা ভাল করিয়া বাধিয়া লইলাম। সস্তাদরে যদি এক ছোট খাট বড়লোক হইয়া পড়া যায় ত মন্দ কি ! i তিন দিন তিন রাত সেই জাহাজের খোলের মধ্যে চিড়া চিবাইতে চিবাইতে যাইতে হইবে দেখিয়া, সুধীর ত বিদ্রোহী হইয়া উঠিল। সে একটা হাতীর মত জোয়ান-তিম মুঠা চিঁড়া চিবাইয় তাহার কি