পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 নির্বাসিতের আত্মকথা করিল-“সাত।” তাহদের নাম করিতে বলায় সে আঙ্গুলের গালৈ গণিয়া পাঁচ জনের নাম করিল। বাকি দুইজনের নাম করিতে বলায় DiDDB D SieuB BD S BDBB KEDB BBBD DD DD DBDBD থাকিত না ; কখনও আপন মনে চুপ করিয়া বসিয়া থাকিত ; কখনও বা সারা দিন রাস্তা পরিষ্কার করিয়া বেড়াইত। একটু লক্ষ্য করিলেই বুঝিতে পারা যায় যে লোকটার মাথা খারাপ। তাহাকে পাগলা গারদে না দিয়া কোন সুবিচারক যে তাহাকে যাবজীবন দ্বীপান্তরের ব্যবস্থা করিয়াছেন তাহা বলিতে পারি না। এরূপ দৃষ্টান্ত জেলখানায় অনেক offS KR তবে মাঝে মাঝে দুই একজন এমন ওস্তাদও মিলে যাহার কাজের ভয়ে পাগল সাজে। একজন বাঙ্গালীকে ঐ রূপ দেখিয়াছিলাম। একদিন বেগতিক বুঝিয়া সে মাথায় কাপড় বাধিয়া গান জুড়িয়া দিল। চোখে চুণের সামান্য গুড়া লাগাইয়া চােখ দুটা লাল করিয়া লইল ; আর আবিল তাবল বকিতে আরম্ভ করিল। ভাত খাইবার সময় মুখ ফিরাইয়া বসিয়া রহিল। প্রহরীরা তাহাকে জেলারের কাছে ধরিয়া লইয়া গেল। জেলার গোটা দুই কলা আনিয়া তাহার হাতে দিলেন। সে কৈলা দুটাে খাইয়া পরে খোসাগুলোও মুখে পুরিয়া চিবাইতে-লাগিল। জেলার স্থির করিলেন লোকটা সত্য সত্যই পাগল ; তা’ না হইলে খোসা চিবাইতে যাইবে কেন ? ) লোকটা ফিরিয়া আসিলে ਚ জিজ্ঞাসা করিলাম-“হারে, খোসা চিবুতে গেলি কেন?” সে বলি, - “কি করি, বাবু সাহেব, বেটাকে ত বোকা বানাতে হবে! একটু কষ্ট, না করলে কি আর পাগল হওয়া চলে ?” ।