পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्क्><का *>झिCत्रीकृष्न् । বাঙ্গলা ভাষায় “উঠতে লাথি, বসতে ঝাঁট” বলিয়া যে একটা কথা আছে তাহার অর্থ যে কি তাহ জেলখানায় দুই চারি দিন থাকিতে থাকিতেই বেশ বুঝিতে পারিলাম। একেত আমাদের পরস্পরের সহিত কথা কহিবার জো নাই ; তাহার উপর যেখানে আমাদের রাখা হইয়াছে সেখানে শুধু মাদ্রাজী আর ব্ৰহ্মদেশীয় লোক । কাহারও কথার এক বৰ্ণও বুঝিবার উপায় নাই। সারাদিন ঠক ঠক করিয়া নারিকেলের ছোবড়া পিটিয়া যাও আর সন্ধ্যার সময় একটা অন্ধকার কুঠরীর মধ্যে কম্বল জড়াইয়া পড়িয়া থাক। পুরা কাজ করিয়া উঠিতে পারিতাম না বলিয়া গালাগালি ও দাঁত খিচুনি প্রায়ই খাইতে হইত। কিন্তু উপায় নাই। একদিন সন্ধ্যার সময় গালাগালি খাইয়া মুখাটী চুণ করিয়া কুঠরীর মধ্যে বসিয়া আছি। এমন সময় একজন পাঠান প্রহরী জিজ্ঞাসা করিল-“বাবুকি হয়েছে?” আমি গালাগালি খাওয়ার কথা । বেলিলাম। সমস্ত শুনিয়া সে বলিল-“দেখ, বাবু, আমি প্ৰায় পাঁচ বৎসর এই জেলে আছি। গলাগলি খেয়ে যারা মন গুমরে বসে থাকে -- তারা হয় পাগল হয়ে যায়, নয় তা মারামারি করে ফাঁসি যায়। ও সব মন” থেকে ঝেড়ে ফেলাই ভাল। খোদাতালার হুকুমে এমন দিন চিরকাল থাকবে না। ’ চুপ করিয়া গালাগালি সন্থ করার অভ্যাস কস্মিনকালেও ছিল না, কিন্তু পাঠানের মুখে খোদাতালার নাম সে রাত্রিতে वज्रे छेि