পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ । b”ፃ' আমাকে জেলারেব নিকট লইয়া গেল। জেলার ত সুশ্রাব্য ভাষায় আমার পিতৃশ্ৰাদ্ধ করিয়া পশ্চাদেশে বেত লাগাইবার ভয় দেখাইলেন । ফিরিয়া আসিয়া যখন ভাত খাইতে বসিলাম তখন খাইব কি, দুঃখ ও অভিমানে পেট ফুলিয়া কণ্ঠরোধ করিয়া দিয়াছে। একজন হিন্দু প্রহরীর মনে একটু দয়া হইল ; সে বলিল-“বাবুলোক তকলিফমে হৈ ; খানা জাস্তি দেও” । কথাগুলা শুনিয়া চীৎকার করিয়া কঁাদিয়া উঠিবার প্ৰবৃত্তি হইল। নিজের গলাটা নিজের হাতে চাপিয়া ধরিলাম। এ সময় লাথি বঁটা সন্থ করা যায় ; কিন্তু সহানুভূতি সন্থ হয় না। ’ রবিবারেও কৰ্ম্মের হাত হইতে নিস্কৃতি নাই। নীচে হইতে বালতি । বালতি জল উঠাইয়া দোতলা ও তেতালার বারান্দা নারিকেল ছোবড়া দিয়া ঘসিয়া পরিষ্কার করিতে হইত। একদিন ঐ রূপ পরিষ্কার করিবার সময় দেখিলাম উল্লাসকর কিছু দূরে কাজ করিতেছে। কথা কহিবার হুকুম নাই, তবু কথা কহিবার বড় সাধ হইল। দুই এক পা করিয়া অগ্রসর হইয়া উল্লাসের কাছাকাছি গিয়া তাহাকে ডাকিবামাত্র আমার পিঠের উপর গুম করিয়া একটা বিষম কিল পড়িল। পিছনে মুখ ফিরাইবাৰ মাত্র গালে আর এক ঘুসি! মূৰ্ত্তিমান যমদূতসদৃশ পাঠান প্রহরী মহম্মদ সা। এইরূপে সরকারী হুকুম তামিল ও জেলের শান্তিরক্ষা করিতেছেন। সেবার কিছুদিন এইরূপে কাটাইয়া ঘানির হাত ৷ হইতে নিস্কৃতি পাইলাম। কিন্তু জেলার নাছোড়বান্দা । দিন কতক পরেই আবার ঘানিতে পাঠাইবার ব্যবস্থা করিলেন। কিন্তু আমি তখন মোরিয়া হইয়া দাড়াইয়াছি। একেবারে সাফ জবাব দিয়া বসিলাম-“আমি ঘানি পিষিব না, তুমি যা করিতে পার কর।” জেলার ত অগ্নিশৰ্ম্ম হইয়া উঠিলেন। একটা কুঠরীতে বন্ধ রাখিয়া পৰ্য্যায়ক্রমে হাতকড়ি, বেড়ী । 's fa (penal diet) ; दादश्। छहेछ । শেষে শরীর যখন নিতান্তই