পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পৰিৱচ্ছেদ O o o ধৰ্ম্মঘটের ফলে সরকার বাহাদুরের সঙ্গে আমাদের যে রফা হইল। তাহার মোট কথা এই যে আমাদের ১৪ বৎসর কালাপানির জেলে বন্ধ থাকিতে হইবে। চৌদ্দ বৎসরের পর আমাদের জেলের বাহিরে ছাড়িয়া দেওয়া হইবে। আর তখন আমাদিগকে কয়েদীর মত পরিশ্রম করিতে হইবে না । জেলখানার ভিতরেও আমরা বাহিরের কয়েদীর মত নিজের নিজের আহার রাধিয়া খাইতে পারিব ও বাহিরের কয়েদীর মত পোষাক পরিতে পারিব অর্থাৎ জাঙ্গিয়া, টুপি ও হাতকটা কুৰ্ত্তা না! পরিয়া কাপড় ও হাতাওয়ালা কুৰ্ত্তা পরিতে পাইব আর মাথায় একটা চার হাত লম্বা কাপড়ের পাগড়ী জড়াইবার অধিকার পাইব । অধিকন্তু ১০ বৎসর যদি আমরা ভাল ব্যবহার করি। অর্থাৎ ধৰ্ম্মঘটে যোগ না দিই বা জেলের কৰ্ত্তাদের সহিত ঝগড়া না করি তাহা হইলে ১০ বৎসর কয়েদ খাটিবার পর সরকার বাহাদুর বিবেচনা করিবেন আমাদের আরও অধিক সুখে রাখিতে পারেন। কি না ! জাঙ্গিয়া ছাড়িয়া ৮। হাতি মোটা কাপড় । পরিয়া বা মাথায় পাগড়ী বাধিয়া আমাদের সুখের -মাত্রা যে কি বাড়িয়া গেল তাহা বুঝিতে পারিলাম না। তবে নিজের হাতে রাধিবার অধিকার পাইয়া প্ৰত্যহ কচুপাত সিদ্ধ খাইবার দায় হইতে কতকটা অব্যাহতি পাইলাম। সঙ্গে সঙ্গে কঠিন পরিশ্রমের হাতও এড়াইলাম। বারীন্দ্ৰকে বেতের কারখানার ত্তত্ত্বাবধানের ভার দেওয়া হইল ; হেমচন্দ্ৰকে পুস্তক