পাতা:নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশন.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অনুরোধে বিষয়টি সালিশের জন্য পেশ করা যেতে পারে। এ ধরনের সালিশের জন্য আবেদন জানানোর ছয় মাসের মধ্যে যদি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সালিশ সংগঠিত করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছুতে না পারে, তাহলে যে কোন একটি পক্ষ বিষয়টি আন্তর্জাতিক সমমর্যাদাসম্পন্ন আদালতের অনুরোধে আন্তর্জাতিক আদালতে পেশ করা যাবে।

২) প্রতিটি রাষ্ট্র এই কনভেনশনে অনুমোদন দান কিংবা অনুস্বাক্ষরকালে এই মর্মে ঘোষণা দিতে পারে যে, এই ধারার ১ উপধারাটি মেনে চলতে রাষ্ট্রপক্ষটি বাধ্য নয়। এই ধারার ১ উপধারায় বর্ণিত বিধান অনুযায়ী অন্য রাষ্ট্রপক্ষগুলিও অনুরূপভাবে অনুমোদন বা অনুস্বাক্ষরে বাধ্য নয়।

৩) এই ধারার উপধারা ২-এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী যদি কোন সদস্য রাষ্ট্র কোন আপত্তি উত্থাপন করে থাকে, তাহলে রাষ্ট্রটি জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট আর্জির মাধ্যমে অনুরূপ আপত্তি প্রত্যাহার করে নিতে পারবে।

ধারা ৩১

১) কোন রাষ্ট্রপক্ষ জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর আবেদনের মাধ্যমে এই কনভেনশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উথাপন করতে পারে। এই ধরনের অভিযুক্তিকরণ জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে পেশকৃত আবেদনপ্রাপ্তির এক বছর পর্যন্ত মেয়াদি হতে পারে।

২) অভিযুক্তিকরণের পূর্ববর্তী পর্যায়ে এই কনভেনশন কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করা থেকে রহিত করবে না কিংবা অভিযুক্তিকরণ কার্যকর হবার পূর্ববর্তী পর্যায়ের কোন বিষয় বিবেচনাধীন থাকলে এ ধরনের অভিযুক্তিকরণ তার ওপর কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না।

৩) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রে উক্ত প্রকৃতির অভিযুক্তিকরণ কার্যকর হবার দিনকে অনুসরণ করে কমিটি উক্ত রাষ্ট্রের নতুন কোন বিষয়কে বিবেচনাধীনে আনবে।

ধারা ৩২

জাতিসংঘ মহাসচিব মহোদয় সকল সদস্য রাষ্ট্রবর্গ এবং এই কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী সকল রাষ্ট্রপক্ষকে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ সম্পর্কে অবহিত রাখবেন:

ক) ২৫ এবং ২৬ ধারার অধীনে কনভেনশনে স্বাক্ষরদান, অনুমোদন এবং আন্তর্ভুক্তিকরণ;
খ) ২৭ ধারা অনুযায়ী কনভেনশন কার্যকর করার তারিখ এবং ২৯ ধারা অনুযায়ী কোন সংশোধনী কার্যকর করার তারিখ নির্ধারণ;
গ) ৩১ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকরণ;

ধারা ৩৩

১) এই কনভেনশনের অবিকল ও নির্ভরযোগ্য আরবী, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান এবং স্প্যানিশ অনুবাদ জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে পেশ করা হবে।

২) জাতিসংঘের মহাসচিব মহোদয় এই কনভেনশনের সত্যায়িত অনুলিপি সকল রাষ্ট্রের কাছে পাঠাবেন।

১৬