পাতা:নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশন.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হবার মাত্র অল্প কয়েক বছরের মধ্যে সংস্থা যে কয়েকটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে বিশ্বজুড়ে নির্যাতন বন্ধের প্রচেষ্টা তার মধ্যে অন্যতম। সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তির মতো জাতিসংঘের বিভিন্ন দলিলে এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশন গ্রহণ করে, যা ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন কার্যকর হয়।

সাধারণ পরিষদের ১৯৯৭ সালের ১২ ডিসেম্বর গৃহীত ৫২/১৪৯ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২৬ জুন নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো এই দিবসটি পালিত হয়।

১৯৯৮ সালের মে মাস পর্যন্ত বিশ্বের ১০৫টি দেশ এই কনভেনশন অনুমোদন করে। কনভেনশনের প্রতিটি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জাতীয় আইনে নির্যাতনকে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে সম্মত হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষসমূহকে কনভেনশন প্রতিপালন পরিবীক্ষণ ও কনভেনশনের বিধানাবলী বাস্তবায়নের জন্যে ১৯৮৭ সালে গঠিত মানবাধিকার চুক্তি সংস্থা নির্যাতনবিরোধী কমিটির কাছে রিপোর্ট করতে হয়। রাষ্ট্রপক্ষসমূহ কর্তৃক নির্বাচিত ১০ জন স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞের সমন্বরে এই কমিটি গঠিত।

মানবাধিকার ঘোষণার ৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'কাউকে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণের শিকার করা যাবে না।'

সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ৫০তম বার্ষিকী পালন উপলক্ষে এ কনভেনশনের বাংলা ভাষায় প্রথমবারের মতো প্রকাশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। আশা করি অগণিত পাঠক এর থেকে উপকৃত হবেন।

পরিচালক
জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র
ঢাকা।