পাতা:নিশান নাও - ধীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিশান নাও আরো দূর ! আরো দূর । পাগল করেছে তরুণ পরাণ তারি আহবান-সুর । যৌবন-ভরা রক্তসাগর উছলিছে কুলে কুলে, জ্যোছনারাত্রি সাজায়েছে তারে শুভ্ৰ কেনার ফুলে ; তারো পারে কোন নবীন প্রভাত উদিছে নবীন দেশেকোথায় হাসিছে নবীন সূৰ্য্য অস্তাচলের শেষে । ওগো মায়াবিনী, আননে তোমার একি অদ্ভুত হাসি ! যৌবন-ঢেউ মন্ত্র-মায়ায় ভেঙে পড়ে রাশি-রাশি ! তুমি কহিতেছ মধুর হাসিয়া—“এই চাই ! এই চাই!” জীবন-মরণ যৌবন-লীলা—অফুরান, শেষ নাই ! হে মোর অপরিচিত। আজি সন্ধ্যায় জীবনের কুলে জ্বলিছে যে ঐ চিতা, নবপ্রভাতের আবাহন লাগি জ্বলে ও কি হোমানল ? তারি লাগি দেয় আপনা আহুতি মুগ্ধ যুবকদল ? অয়ি মায়াবিনি, চাহনি তোমার ভুলায়েছে শত প্রাণ, বক্ষে বক্ষে উঠিছে ধবনিয়া লক্ষ লক্ষ গান ! চলেছে তরুণ—সুদূর-পথিক মুগ্ধ আপনা-ভোলা হৃদিহিন্দোলে যৌবন তার দিয়েছে মোহন দোলা, বিদায়-বাণীর পারে সে শুনেছে নব-আগমনী গান, শুষ্ক বেলার পরে সে দেখেছে শত - সাগরের বান, দেখেছে সে দূর ভবিষ্যতের শুভ্ৰ জ্যোভির রেখা সন্ধ্যা-মেঘের পরপারে যেথা হাসিছে উদয়-লেখ ।