পাতা:নিশান নাও - ধীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিশান লাও কলঙ্কের মসীলেপে প্রাগশূন্ত কঙ্কালের মত জন্ম হ’তে মৃত্যু-পানে বোঝা বহি’ দৈন্তাভারনত চলিয়াছে বংশধর তারি । ஆ নাহি শৌর্য, নাহি জ্ঞান— নাই সে সাহস শক্তি, নাই সেই উন্মুক্ত পরাণ । প্রতি পদে সদা শঙ্কা—কোথা যাই ? বিল্প বুঝি আসে । আচ্ছন্ন মলিন দৃষ্টি, মৃত্যু-স্বপ্ন নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে । জানেন হাসিতে কতু প্রাণ খুলে বিপুল উল্লাসে, জানেনা আনন্দভরে বিঘ্নেরে বাধিতে বাহুপাশে । কোথায় সুমেরুশিরে রহস্তের চিরন্তন মায়া, কোথায় কুমেরুবক্ষে দোলে কোন ইন্দ্রজালছায়া, সে স্বপ্ন দেয়না দোলা, দেখেন সে দূরের স্বপন ; তার তরে বিশ্ব নাই, আছে শুধু ভীত ক্ষুদ্র মন । সে শিখেছে মুখ বেঁকে শক্তিমানে করিতে বিদ্রুপ, সে চিনেছে শুধু তার অন্ধকার নিরাপদ কৃপ । দেশে দেশে নারীদল সন্তরিছে বিপ্লসিন্ধুবুকে, শক্ৰ হেরি’ শস্ত্ৰহাতে ভীরুপালে দাড়ায়েছে রুখে, নয়নে হানিছে বহ্নি ;—সে কি শুধু লালসার লতা ? তাহার অন্তর-তলে নাহি কি সে বজের দেবতা ? সে কি নহে মহাশক্তি ? নাহি তার আপন ক্ষমতা ? অন্তঃপুর পুণ্য অতি,—বাহিরে কেবল পঙ্কিলতা ? লালসার মন্ত্র দেয় বাহিরের আকাশের অালো ? অনাবিল শুধু এই রুদ্ধগৃহে অন্ধকার কালো ? \93