পাতা:নিশীথ-চিন্তা - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারা আর ফুল । s অৰ্জ্জুনের মত মহাপুরুষও, বিশ্বরূপ-দৰ্শন-প্রসঙ্গে, ক্ষণমাত্র অনন্তস্বরূপে আত্ম-সমৰ্পণ করিতে যাইয়া, ভয়ে থর” গব কাপিয়াছিলেন এবং ৬একবারে আত্মহারা ও অবসন্ন হইয়া পড়িয়াছিলেন । এমন স্থলে, অকৃতপ্ৰজ্ঞ, অল্পবুদ্ধি সুধারণ লোকের কাছে আর কি আশা করা যাইতে পারে ? 丐石可 q জগতে ' মানুষ্যের কোথাও * কি দাড়াইবার তার স্থান . নাই ? এক্ষণ সেই কথাটুকুই বলিবার বাকী রহিয়াছে । অনন্তের এই অনন্তবিস্তার শুধুই মানুষ্যের পশ্চাতে ও পুরোভাগে নহে। মনুষ্যের বাহিরে যেমন সকল দিকেই অনন্ত, মনুষ্যের ভিতরে ও সেইরূপ অনন্তেরই অনন্ত লীলা-অনন্ত বিকাশ । জগতের এই সারাৎসার তত্ত্বটিই এখানে এক্ষণ আতি সংক্ষেপে বিবৃত করা আবশ্যক হইয়াছে । একদিন একটি বৃষ্টিক্সাত স্কুটত যুথিকার বক্ষঃস্থলে এক ফোটা জল দেখিয়াছিলাম। ফুলের মধ্যে যাই বড় ছোট । যে জলটুকু যুঁই ফুলের ক্ষুদ্র হৃদয়ে নিবদ্ধ রহিতে পারে, তাহা যে জল-কণার মধ্যে যার পুর নাই ছোট, ইহা সহজেই অনুমিত হয় । অথচ চাহিয়া দেখিলাম যে, শ্যামল-স্নিগ্ধ সান্ধ্যগগনের যে অনন্ত বিস্তার আমার মাথার উপর বিলম্বিত, যুথিকালগ্ন জলকণার মধ্যেও তাঁহাই, আণুবীক্ষণিক পরিমাণে, অপরূপ আভায় প্ৰতিবিম্বিত । আমি অনন্ত গগনের সেই