১২২ -ਕੁ | নাই । সে প্রীতির একটা দিকই দেখিতে পাইয়াছে, উহারঅনন্ত-লীলাময়ী অমিয়-মুরতুি মুহূৰ্ত্তের, তরেও তাহার হৃদয়ে কি মনে পূর্ণসৌন্দর্ঘ্যে প্রতিবিম্বিত হয়,নাই! তাই বলিতেছি, বিরহ, বিষাদ-বিষের প্রতিকৃতি হইলেও নিরবচ্ছিন্নই বিপদ a বিরহে প্রেমের পরিশুদ্ধি-গ্ৰীতির পবিত্রতা। প্রেমের মূলতত্ত্ব পরকীয় প্রকৃতিনিহিত সৌন্দৰ্য্য অথবা 'সেই সৌন্দর্য্যের প্রত্যক্ষ প্রতিকৃতিস্বরূপ রূপের উপাসনা এবং পরার্থ আত্মোৎসর্গ ;-প্রেমের মুখ্য কণ্টক সুখ-লালসা আর স্বাৰ্থ পরতা। যে অনুরাগ শুধুই সুখ-লালসায় অঙ্কুরিত এবং স্বার্থপরতায় সংবদ্ধিত হয়, তাহা প্ৰেম নহে প্রেমের বিড়ম্বন মাত্র। তাদৃশ আকর্ষণীর সহিত উপাসনা কিংবা আত্মোৎসগের কোন প্ৰকার সম্পর্ক থাকিতে পারে না । যাহারা দুৰ্ভাগ্যবশতঃ মনুষ্যত্ব হইতে পরিভ্রষ্ট অথবা মনুষ্যত্নের উচ্চতর আদর্শে বঞ্চিত, উহা তাহাদিগেরই ভোগে আসিতে পারে ; উচ্চপ্ৰকৃতিশালী উদার-চরিত্রদিগের উপভোগ্য হয় না । বিরহ সুখ-লালসা এবং স্বার্থপরতা সম্বন্ধে স্বভাবতঃই दक्षिद्ध ন্যায়,-পরিশোষক, পরিশোধক, এবং সুতরাংই প্রীতির প্রকর্ষ-বৰ্দ্ধক । যাহার হৃদয় স্বপ্নেও কখনও পবিত্ৰতার শান্ত-সুিগ্ধ, শুদ্ধ-সুন্দর স্বৰ্গীয় মুৰ্ত্তি দেখিতে পায় না, সেও বিরহের যজ্ঞীয় অগ্নিতে দগ্ধ হইয়া, সহসা তাহার হৃদয়
পাতা:নিশীথ-চিন্তা - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/১৩০
অবয়ব