পাতা:নিশীথ-চিন্তা - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ङकाश् छव्जन । ՀՖԳ চিত্রে চাহিয়া-দেখিলে চিত্তে অ্যাপনা হইতেই এইরূপ প্ৰতীতি জন্মে যে, নদী বুঝি, কাহাও দ্রুদয়-নিহিত প্রেমের ক্ৰীভূত ধারা এবং সমুদ্র তাহাৰু প্রেমের ধন । নহিলো, উহা সমুদের দিকে, এরূপ পাগলের মত, প্রধাবিত হয় কেন ? পৃথিবীর বন, উপবন ও উদ্যাননিচয় স্বভাবতঃস্থ প্ৰাতঃসময়ে ও সন্ধ। সমাগমে ফুলের হাসিতে হাসত মুক্তি ধারণ করে,--- অসংখ৷ ফুল্পের ফুটন্ত সৌন্দর্য্যে নূতন শোভা ধারণ করিয়া মনুষ্যের মন ও প্ৰাণ মোহিত করিতে রহে । কিন্তু বন ও উপবনে ব: সেই বিচিত্ৰ শোভার দিকে ক্ষণকাল তাকাইয়া রাখলেই মনে এইরূপ একটা ভাবের উদয় হয় যে, ফুল বুঝি কাহার ৬ প্রেমের চক্ষু, এবং ঐ অসংখ্য ফুলের আনন্দময় দৃষ্টি যে অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় সৌন্দয্যের উপাসনার জন্য উন্মলিত হইয়াছে, তাহাই বুঝি তাহার প্রাণারাধা বস্তু। বিহঙ্গ স্বভাবতঃই উষার অভু্যদয়ে এবং দিবা বসানে মনের সুখে কল-কাল ধ্বনি করে। কিন্তু বিহঙ্গের সেই কল-পূজিন, কিছু ক্ষণ কৰ্ণ পাতিয়া শুনিলেই, এইরূপ মনে লয় যে, প্ৰভাত ও সন্ধ্যার ঐ প্রমোদ-সুখময় পবিত্র উৎসব অবশ্যই কাহাব ও প্রেমের আরতি, এবং বিহঙ্গের কল-ধ্বনি সেই আরতিরই অঙ্গীভূত গীতি-স্তুতি । প্ৰকৃতির লীলা-কাননে প্রেমের এইরূপ উৎসব, আরতি ও ‘ভোগ-রাগি” দেখিয়া, অ্যাশার প্ররোচনায়, এক সময়ে