পাতা:নিশীথ-চিন্তা - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) o নিশীথ-চিন্তা দুলিতা ব্রততীও যেন তপস্যারই আনন্দ-স্ফূৰ্ত্তিতে নুইয়া নুইয়া পড়িতেঁছে। যিনি শ্মশানে কিংবা জন-শূন্য স্থানে শিবারূঢ় হইয়া শক্তির ভৈরবী মূৰ্ত্তি ভজনা করেন, রাত্রিই তাহার কাল ; এবং যিনি স্বভাবের সৌন্দৰ্য্য-সমুদ্রে নিমগ্ন হইয়া সৌন্দৰ্য্যের সৌন্দৰ্য্য— স্বরূপ সেই অতীন্দ্ৰিয় সুন্দরের আরাধনা করেন, রাত্রিই তাহার উপযুক্ত সময় । মনুষ্যের হৃদয় তখন 4भम 4क দুর্ববহ ও অলৌকিক ভারে অবসন্ন হইয়া পড়ে যে, উহা আর নিরালস্ব থাকিতে ভালবাসে না ; নিরালম্ব থাকিতে সমর্থ হয় না । তখন মনে লয় যেন প্রকৃতির প্রাণ-রূপিণী দেবী ভুবনমোহিনী, দিবসের উপদ্রব ও কলরবের পর একটু প্ৰশান্ত সময় পাইয়া, দেবাদিদেব পরমপুরুষের তপস্যার জন্য ভূতলে আসিয়া যোগাসনে উপবিষ্ট হইয়াছেন ; এবং পাছে তঁাহার ধ্যান-ভঙ্গ হয়, পাছে তাহার একাগ্রতায় বিস্ত্ৰ জন্মে, এই ভয়ে সমস্ত বিশ্ব সুদূরে স্তম্ভিতভাবে দণ্ডায়মান রহিয়াছে। বায়ু যে প্রবাহিত হইতেছে, তাহাও যেন ধীরে ধীরে ;—স্রোতস্বিনী যে কুলু কুলু ধ্বনিতে চলিয়া যাইতেছে, তাহাও যেন ভয়ে ভয়ে ; এবং জীবমণ্ডলী যে শ্বাস প্ৰশ্বাস ফেলিতেছে, তাহাও যেন সংসঙ্কোচে । এমন প্ৰগাঢ় তপস্যা কে দেখিয়াছে ?- এবং দেবীর সেই তপস্বিনীর বেশ যে একবার নয়ন ভরিয়া নিরীক্ষণ করিয়াছে, সেই বা কি আর আপনাতে আপনি রহিতে পারিয়াছে ? অতি প্ৰাচীনকাল হইতেই এইরূপ একটি প্ৰবাদ প্ৰচলিত