পাতা:নিশীথ-চিন্তা - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR নিশীথ-চিন্তা। " করে নাই। ভোগবিহবল যবনভূপতিরা শৌৰ্য্য ও শিল্পসৌন্দর্ঘ্যের বিবিধ দুর্লভ সম্পদ প্রদর্শন করিয়া যমুনাকে ভুলাইতে চাহিয়াছে। কিন্তু যমুনা তাহাদিগের শৌৰ্য্য কিংবা কারুকাৰ্য কিছুরই দিকে ফিরিয়া চাহে न३। যমুনার জল যেমন একটানা, যমুনার প্রাণও তেমনই একটানা , যমুনার কাল জল ও কোমল প্ৰাণে কৃষ্ণ নাম ভিন্ন আর কিছুই প্ৰতিধ্বনিত হয় না। যমুনার জলরাশি যখন গভীর নিশীথে কলকল কগ্নিয়া বহিয়া যায়, তখন প্রকৃতই এইরূপ মনে লয় যে, কেহ যেন শোকের অসহ্য জ্বালায় উন্মাদিত হইয়া ‘হা কৃষ্ণ ” বলিয়া বিলাপ করিতেছে, এবং ঐ জল যখন বায়ু হিল্লোলে উচ্ছসিত হুইয়া গজ্জিতে থাকে, তখন নিশ্চয়ই এই ধারণা জন্মে যে পাগলিনী আর সহিতে না পারিয়া এক্ষণ উচ্চৈঃস্বরে আর্তনাদ করিতেছে। হা যমুনে ! তুমি কি স্রোতস্বিনী,-না কৃষ্ণ-হৃদয়-বিনোদিনী প্ৰেম-মূৰ্ত্তি শ্ৰীরাধিকার অশ্রুধারারূপিণী ? মানুষ যে এখনও তোমার শোক-শীর্ণ বিষন্ন মূৰ্ত্তি দেখিলেই কৃষ্ণপ্ৰেমে আকুল হইয়া অশ্রুজালে ভাসিতে থাকে, ইহার আর কি কিছু কারণ अीह ? অকৃতজ্ঞ ভারতবাসী, বৰ্ত্তমান মুহূৰ্ত্তের ক্ষণিক সুখে অথবা ক্ষণিক দুঃখে আত্ম-বিস্মৃত হইয়া, ভারতের ভূত-কীৰ্ত্তিস্বরূপ চির-কীৰ্ত্তনীয় মহাপুরুষদিগকে অনায়াসে ভুলিতে পারিয়াছে, - ঘাঁহাদিগের পদব্রজঃস্পর্শে পৃথিবী পবিত্র হইয়াছিল, যাঁহাদিগের