পাতা:নিশীথ-চিন্তা - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፵፫ርማ ፵ቑ ! VISJON শান্তি দেয় না, এবং প্রকৃত আনন্দ ক্ষণকালের তরেও তিষ্ঠিয়া থাকিতে পারে না। ঐ রূপ- ‘সুখী” লোকদিগের মধ্যে যাহারা জ্ঞান অথবা মনস্বিতার উচ্চ অভিমানে একটুকু বেশী কঠোর, তাহারা শ্বেত-মৰ্ম্মর-খচিত সুন্দরদৃশ্য শ্মশানের মত --উপরে সুখসামগ্রীর পুম্পিত আবরণ, অন্তরে শ্মশানের সন্তাপ এবং শ্মশানেরই ভস্মাবশেষ। যে দুঃখ রোদন-ধ্বনিতে পরিস্ফুট, ভাষার পরিব্যক্ত ও বাষ্পবারিতে বিধৌত হইয়া যায়, অথবা মনুষ্য মনুষ্যের কাছে প্ৰণয় কিংবা প্রয়োজনের অনুরোধে যেরূপ দুঃখের কথা কহিয়া সাস্তুনা কিংবা সহানুভূতির প্রত্যাশা করে, তাহাদিগের দুঃখ সে জাতীয় নহে। তাহাদিগের দুঃখ বিষদিগ্ধ শলাকার মত মৰ্ম্মস্থানে লাগিয়া থাকে ;-স্পর্শ করিলেই অধিকতর বেদন জন্মায় । তাহারা, এই হেতু, যতই সেই দুঃখের প্রগাঢ়তা অনুভব করে, ততই উহাকে নানারূপ যত্নের দ্বারা একবারে আত্মার অন্তস্তলে নিয়া লুকাইয়া রাখে। বুকের মধ্যে এক সঙ্গে শত বৃশ্চিক দংশন করিতে ब्रहश् ; किङ्लु তথাপি মুখে একটি কথা ফোটে না, তাহারা তাহাদিগের প্ৰাণটাকে বুন্তচু্যত কুসুমের মত পাদ-তলে পুনঃ পুনঃ দালন করিয়া পিশাচের জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলাইয়া দিতে পারে, তথাপি পরের কাছে প্ৰাণের দুঃখ, প্ৰাণের কথা প্ৰকাশ করিতে সমর্থ হয় না । বাহিরের ব্যবহারে সুখী অথচ অন্তরে দুঃখ