পাতা:নিশীথ-চিন্তা - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ց3 নিশীথ-চিন্তা এবং তাহাদিগকে খাদ্যের অন্বেষণে এমনই উন্মাদিত রাখে যে, তাহারা প্রায়শঃ কখনও সুখ-দুঃখের পার্থক্য বুঝিবার সময় পায় না। আর এক কথা। এই, তাহাদিগের ক্ষুধার তৃপ্তি অথবা সুখের পথে যাহা কিছু বিঘ্ন থাকুক, তাহ বাহিরে । ভিতরে, 5孔 छाङ्गो আর কোনরূপ কেণ্টক কিংবা প্ৰতিবন্ধক থাকিতে পারে না। সুতরাং, ছাগ ও কুকুট প্রভৃতি জীব সাধারণতঃ যে জন্য সতত সন্তাপ্ত, ভোগ্যের অন্বেষণ-বস্ত্ৰে বাহিরে কোনরূপ বাধা না ঘটিলে, তাহারও সেইরূপ সুখ-সন্তুষ্ট। সৰ্প, শিশুর সুকুমার অঙ্গে পুনঃ পুনঃ দংশন করিয়াও যে জন্য লজ্জিত কিংবা দুঃখিত না হই মা, আত্মসুখে শ্ৰীতি রহে, তঃস্ফারাও আপনার সুখ-স্বার্থের অন্বেষণে, পরের মৰ্ম্মচ্ছেদ করিয়া, সেই জন্যই অপূৰ্ব সন্তোষলাভ করিয়া থাকে । কারণ, শ্ৰীতি যেখানে ফোটে নাই, দয়া যেখানে বিকসিত হয় নাই, এবং ন্যায়পরতা ও ভক্তি যেখানে অঙ্কুরিত হইবারও স্থান পায় নাই, সেখানে কে কাহারে শাসন করে, কে কাহার কোন সুখের উপর দুঃখের ছায়া ফলায় ? কিন্তু যাহারা মনুষ্যদেহ ধারণ করিয়া মনুষ্যত্বের পথে একটুকুও উপরে উঠিয়াছে, দুঃখ হইতে এই ভাবে নিস্কৃতিলাভ অথবা এই অবস্থার সুখ-সন্তোষ কোন দিনও তাহাদিগের প্রার্থনীয় নহে। তাহারা এইরূপ দুঃখ-শূন্য জীবন অথবা সুখের কথা শুনিলে ভয়ে শিহরিয়া উঠে। মিল বলিয়াছেন যে, সুখ-সন্তুষ্ট শূকর অপেক্ষা দুঃখদগ্ধ মনুষ্যের জীবনই অধিকতর বাঞ্ছনীয়, এবং সুখ-সন্তুষ্ট মুর্থ