পাতা:নিশীথ-চিন্তা - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So নিশীথ-চিন্তা । করিলেও হৃদয় সানন্দবিস্ময়ে স্পন্দহীন হ্রয় , উহার কলেবর, নানাবিধ বিচিত্র বর্ণের একত্র সমাবেশে, সকল সময়েই এক অপূর্ব সামগ্ৰী। দুই দিকের দুই প্রান্তভাগ অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর সন্নিহিত প্ৰদেশ নিলাঞ্জন-পুঞ্জের ন্যায় প্রগাঢ় নীল । শরীরের অন্যান্য স্থান তরল-পীতা । মধ্যভাগ শ্বেত এবং সমস্ত দেহই পিঙ্গল, নীল-লোহিত ও রক্ত লাঞ্ছনে লাঞ্ছিত। পৃথিবীকে একটি মাত্ৰ চন্দ্ৰ নৈশ অন্ধকারে আলোক দান করিয়া থাকে। শনৈশ্চর আটটি চন্দ্রের সুখ-মধুর শীতল জ্যোৎস্নায় সতত আলোকিত রহে । যখন সে আঁ৮ ” চন্দ্র, এক সঙ্গে পূৰ্ণকলায় প্রমুদিত হইয়া, আটদিকে আটটি জ্যোতিৰ্ম্ময় কুসুমের ন্যায় বিরাজমান হয়, বোধ হয়, তখনকার সে শোভা দেখিবার জন্য দেব-লোক-বাসী যোগ-মগ্র তাপসেরাও ক্ষণকাল চক্ষু মেলিয়া চাহিয়া থাকেন। ঐ আট চন্দ্ৰেই শনির আলোক-সম্পদ পরিসমাপ্ত নহে । উহার চারু-চিত্রিত কান্ত-কলেবর তিনটি অপরূপ ও পরস্পর অসংলগ্ন * আলোক

  • “বহিঃস্থ বলয়ের বহির্ভাগের ব্যাস ১,৬৬,৯২০ মাইল । বহিঃস্থ বলয় লইতে মধ্যস্থিত বলয়ের দৃঢ়তা ১,৬৮০ মাইল।—বহিঃস্থ বলয়ের পরিসর ৯,৬২৫ মাইল। মধ্যস্থিত বলয়ের পরিসর ১৭,৬০৫ মাইল । তন্নিমস্থ স্বচ্ছ শ্যাম-বলয়ের পরিসর ৮,৬৬০ মাইল । উক্ত শুষ্ঠাম-বলয়

হইতে শনৈশ্চরের পৃষ্ঠদেশের দূরত্যা ৯,৭৬০ মাইল।” . Lockyer,