পাতা:নিষ্‌কৃতিলাভপ্রয়াস.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নিষ্কৃতিলাভপ্রয়াস।

জ্বালাতন করিতে আসিয়াছি। এই বলিয়া, তিনি অশ্রুপূর্ণ নয়নে বলিতে লাগিলেন, অমুকের অত্যাচারে আমি আর বাটীতে তিষ্ঠিতে পারি না। বিশেষতঃ, পাড়ার স্ত্রীলোকেরা আমাদের বাটীতে আসিলে, তাহাদের সমক্ষে, তিনি অকারণে আমার এত তিরস্কার করেন, যে প্রাণত্যাগ করিতে ইচ্ছা হয়। অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া, অবশেষে তোমার নিকটে আসিলাম। তখন আমি বলিলাম, মা! আপনকার এ অসুখের নিবারণ করা আমার ক্ষমতার বহির্ভূত। কিয়ৎ ক্ষণ কথোপকথনের পর, আমি বলিলাম, আপনি যেরূপ বলিতেছেন, তাহাতে আর আপনকার সংসারে থাকিবার কোনও অবশ্যকতা লক্ষিত হইতেছে না। আমার বিবেচনায়, অতঃপর কাশীবাস করাই আপনকার পক্ষে সর্ব্বাংশে শ্রেয়ঃ। আমার পিতৃদেব কাশীবাসী হইয়াছেন; যদি মত করেন, আপনাকে তাঁহার নিকটে পঠাইয়া দিই। তিনি বাসা স্থির করিয়া দিবেন; সর্ব্বদা তত্ত্বাবধান করিবেন; আপনকার পরিচর্য্যার নিমিত্ত, ব্রাহ্মণকন্যা স্থির করিয়া দিতে পরিবেন; তাঁহার নিকট হইতে মাস মাস দশ টাকা পাইবেন; যেরূপ শুনিতে পাই, তাহাতে মাসিক দশ টাকাতে, সেখানে সচ্ছন্দে দিনপাত করিতে পারিবেন। তিনি সম্মত হইলেন; তাঁহাকে কাশীতে পাঠাইয়া দিলাম। তিনি অদ্যাপি কাশীবাস করিতেছেন; এবং, আমার নিকট হইতে, মাস মাস, দশ টাকা পাইতেছেন।

 একদা, তর্কালঙ্কারের পত্নী ও বিধবা মধ্যমা কন্যা