পাতা:নিষ্‌কৃতিলাভপ্রয়াস.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নিষ্কৃতিলাভপ্রয়াস।
২১

পটোলডাঙ্গার শ্যামাচরণ বাবুর বাটীতে উপস্থিত হইতে বলিয়া পাঠাইলাম। যথাসময়ে তথায় উপস্থিত হইয়া দেখিলাম, যোগেন্দ্রনাথ বাবু এবং তর্কালঙ্কারের শ্যালক শ্রীযুত বাবু রামনৃসিংহ বন্দ্যোপাধ্যায়, উভয়ে উপস্থিত আছেন। তাঁহাদিগকে তর্কালঙ্কারের পত্র দেখাইলাম। পত্র পাঠ করিয়া, যোগেন্দ্রনাথ বাবু, বিষণ্ণ বদনে, মৌনাবলম্বন করিয়া রহিলেন; কিয়ৎ ক্ষণ পরে আমায় বলিলেন, তবে আপনি দয়া করিয়া যেরূপ দিতে চাহিয়াছিলেন, সেইরূপই দেন। আমি বলিলাম, তুমি কুন্দমালার নাম করিয়া প্রার্থনা করাতে, আমি, দ্বিরুক্তি না করিয়া, পুস্তক তিন খানি দিতে সম্মত হইয়াছিলাম। কিন্তু তৎপরে তোমরা যে ফেসাৎ উপস্থিত করিয়াছ, তাহাতে আর আমার দয়া করিবার ইচ্ছাও নাই, আবশ্যকতাও নাই। তোমরা উকীলের চিঠি দিয়াছ, নালিসের ভয় দেখাইয়াছ, এবং, আমি ফাঁকি দিয়া পরের সম্পত্তি ভোগ করিতেছি বলিয়া, নানা স্থানে আমার কুৎসা করিয়াছ। আমাদের দেশের লোক নিরতিশয় পরকুৎসাপ্রিয়; তোমার মুখে আমার কুৎসা শুনিয়া, সাতিশয় আহ্লাদিত হইয়াছেন; এবং তত্ত্বানুসন্ধানে বিমুখ হইয়া, আমার কুৎসাকীর্ত্তন করিয়া, বিলক্ষণ আমোদ করিতেছেন। এমন স্থলে, আর আমার দয়া করিতে প্রবৃত্তি হইবেক কেন? তবে কুন্দমালাকে বলিবে, আমি তাহাকে, মাস মাস, যে দশ টাকা দিতেছি, অনেকে, তোমাদের আচরণদর্শনে সাতিশয় অসস্তুষ্ট হইয়া, তাহা রহিত করিবার নিমিত্ত আমায় পরামর্শ