পাতা:নিষ্‌কৃতিলাভপ্রয়াস.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



 যোগেন্দ্রনাথ বাবু শ্বশুরপরিবারের হিতসাধনবাসনার বশবর্ত্তী হইয়া, আমার পক্ষে যাদৃশ ভদ্রতাপ্রকাশ করিয়াছেন, তাহা দর্শিত হইল। তিনি, শ্বশুরের গৌরববৰ্দ্ধনবাসনার বশবর্ত্তী হইয়া, আমার পক্ষে যাদৃশ ভদ্রতাপ্রকাশ করিয়াছেন, তৎপ্রদর্শনার্থ, বেতালপঞ্চবিংশতির দশম সংস্করণের বিজ্ঞাপন উদ্ধৃত হইতেছে।

 “১৯০৩ সংবতে, বেতালপঞ্চবিংশতি প্রথম প্রচারিত হয়। ২৫ বৎসর অতীত হইলে, মদনমোহন তর্কালঙ্কারের জামাতা, শ্রীযুত বাবু যোগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এম. এ., তদীয় জীবনচরিত প্রচারিত করিয়াছেন। ঐ পুস্তকের ৪২ পৃষ্ঠায় লিখিত হইয়াছে,—

 “বিদ্যাসাগরপ্রণীত বেতালপঞ্চবিংশতিতে অনেক নূতন ভাব ও অনেক সুমধুর বাক্য তর্কালঙ্কার দ্বারা অন্তর্নিবেশিত হইয়াছে। ইহ তর্কালঙ্কার দ্বারা এত দূর সংশোধিত ও পরিমাজিত হইয়াছিল যে বোমাণ্টফ্লেচরের লিখিত গ্রন্থগুলির ন্যায় ইহা উভয় বন্ধুর রচিত বলিলেও বলা যাইতে পারে”।

 যোগেন্দ্রনাথ বাবু, কি প্রমাণ অবলম্বন পূর্ব্বক, এরূপ অপ্রকৃত কথা লিখিয়া প্রচারিত করিলেন, বুবিয়া উঠা কঠিন। আমি, বেতালপঞ্চবিংশতি মুদ্রিত করিবার পূর্ব্বে, শ্রীযুত গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ও মদনমোহন তর্কলঙ্কারকে শুনাইয়াছিলাম। শুনাইবার অভিপ্রায় এই যে,