পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○う নীতি-সন্দর্ভ ।

  • * * *

এই স্বদেশপ্রেমিকতা অতি অল্পলোকেই পরিলক্ষিত হয়। বৰ্ত্তমানসভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে স্বদেশানুরাগ, নিকৃষ্টজাতির প্রতি দয়াপ্রভৃতি কয়েকটী সৎপ্রবৃত্তি আমাদের মন হইতে ক্রমেই অন্তৰ্হিত হইয়া কোথায় যেন বিলীন হইয়া যাইতেছে। যে স্বদেশমুরাগে ভারতসন্তানের জাতীয়জীবন গঠিত একদিন তাহারই প্রেরণায় এদেশের ললনা পৰ্য্যন্ত সুকুমার দেহে কঠিন লৌহবৰ্ম্ম পরিধান করিয়া রণচণ্ডাবেশে সমরক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইতেন ; প্রাণাধিক তনয়কে নিজহস্তে লৌহবৰ্ম্মে সজ্জিত করিয়া সমরক্ষেত্রে প্রেরণ করিতেন ; যে "জহরত্রতের” নামে আজ পর্য্যন্ত হৃদয় যুগপৎ বিষাদ ও বিস্ময়ে শিহরিয়া উঠে, শুধু স্বদেশের গৌরবরক্ষার জন্যই সেই “জহরত্ৰত” ভারতে অনুষ্ঠিত হইত। কেবল তাসিহস্তে সমরপ্রাঙ্গণে উপস্থিত হইলেই স্বদেশানুরাগ প্রদর্শিত হয় না । স্বদেশের স্বাধীনতারক্ষা ইহার একটা প্রধান অঙ্গ বটে, কিন্তু কেবল ইহাতেই স্বদেশপ্রেমের পরিণতি নহে। স্বদেশের উন্নতি ও মঙ্গলকর যে কোন কাৰ্য্যই করা যায় না কেন, তাহাই স্বদেশপ্রেমের অন্তভুক্ত। যখন তাকবরসেনকর্তৃক চিতোর নগর অবরুদ্ধ হয় তখন, কৰ্ম্মদেবী এই স্বদেশপ্রেমে প্রণোদিত হইয়া বালক পুত্তকে বলিয়৷ ছিলেন,—“বৎস যুদ্ধে গমন কর, শক্র আমাদের স্বন্ধের উপর অবস্থিত। তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিয়া কৰ্ত্তব্য পালন কর।” স্বদেশপ্রীতির জন্য স্বাৰ্থত্যাগ একান্ত আবশ্যক। যতক্ষণ মনে স্বার্থাকাঙ্গণ প্রবল থাকে, ততক্ষণ স্বদেশপ্রীতি জন্মিতে পারে