পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ত্তব্যানুষ্ঠান । 8X অন্যের প্রাণ লইয়া ক্রীড়া করা যে একটী অন্যায় কাৰ্য্য ইহা ক্ষণকালের জন্যও রোমীয়গণের মনে স্থান পাইত না। এই কাৰ্য্যে তাহারা যে সুখানুভব করিত, তাহাতেই তাহাঁদের উচ্চতর সদৃত্তিগুলি আচ্ছাদিত হইয়া রহিয়াছিল । পরে একদা কোন ধাৰ্ম্মিকশ্রেষ্ঠ সন্ন্যাসী এই বীভৎস অভিনয় দেখিয়া, তাহাদিগকে প্রতিনিবৃত্ত করিবার জন্য অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু কেহই তাহার কথায় কর্ণপাত করিল না দেখিয়া তিনি লম্ফপ্রদানপূর্বক দুইটা মল্লযোদ্ধার মধ্যে পতিত হইয়া স্বীয় জীবন উৎসর্গ করেন। যখন ধাৰ্ম্মিকশ্রেষ্ঠ সন্ন্যাসী সর্বসমক্ষে নিজ প্রাণ উৎসর্গ করিলেন, তখনই রোমানগণের জ্ঞানচক্ষু উল্মীলিত হইল। তাহারা বুঝিতে পারিল যে, একটা নীচপ্রবৃত্তির বশীভূত হইয়া একটা উৎকৃষ্ট প্রবৃত্তিকে তাহারা দূরে নিক্ষেপ করিতেছে। সেই দিন হইতেই তাহার সেই নিষ্ঠ রক্রীড়া পরিত্যাগ করে। ব্ৰহ্মার একটমাত্র কথায় মহাপাপী রত্নাকরের বিবেক পরিস্ফুরিত হইয়াছিল। একমাত্র সাধুসন্দর্শনে বীরবর শিবাজির মৃগয়াপিপাসার নিবৃত্তি ঘটিয়াছিল। একদা বীরবর শিবাজি মৃগয়ার্থ বনে গমন করেন। তাহার উগ্ৰমূৰ্ত্তি দেখিয়া পক্ষীগুলি ভয়ে পলায়ন করিতে আরস্ত করে । শিবাজি তাহদের অনুধাবমান হন। অনেক দূর পর্য্যন্ত উড়িয়া গিয়া পক্ষীগুলি এক সংযতাত্মা যোগীর আশ্রমে আশ্রয় গ্রহণ করে। ক্রমে শিবাজি ও তথায় উপস্থিত হইলেন কিন্তু, শিবাজিকে তথায় দেখিতে পাইয়াও, বিহঙ্গগণ আর পলায়ন করিল না । সেই যোগিবরকে নয়নগোচর