পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tR নীতি-সন্দর্ভ । ৪। উৎসাহ । উৎসাহ অন্ধের যঃি, রাজার প্রধান অমাত্য ও ছাত্রের প্রধান অধ্যাপক। যাহার উৎসাহ নাই, তাহার আত্মার স্ফৰ্ত্তি থাকিতে পারে না, বাহার আত্মা স্ফৰ্ত্তি হীন, সে ক্রমে নিশ্চল ও নিশ্চেষ্ট হইয়া জড়প্রকৃতি প্রাপ্ত হয়। পক্ষান্তরে যাহার উৎসাহ আছে, গ্লানি কখনই তাহাকে আক্রমণ করিতে পারে না ; কোন কার্ঘ্যে হস্তক্ষেপ করিবার পূর্বে তাহার হৃদয় উৎসাহে পরিপূর্ণ হইয় উঠে। একটা দৃষ্টান্ত বলি। বীরকেশরী প্রতাপসিংহ হলদিঘাটের যুদ্ধের পর স্বীয় তনয়ার দুর্দশ দর্শন করিয়া সম্রাট আকবরের বশ্যতা স্বীকার করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়া তৎসমীপে একখানি পত্র প্রেরণ করেন। আকবর পত্ৰখানি পাইয়াই আনন্দে উৎফুল্ল হইয়া উঠিলেন। অচিরে একটী সভা আহূত হইল এবং সর্বসমক্ষে প্রতাপের সেই পত্ৰখানি পঠিত হইল। সভাস্থলে তেজস্ব পৃথ্বীরাজ উপস্থিত ছিলেন ; তিনি প্রতাপের ঈদৃশ মনোবিকার দেখিয় তাহার নিকট একখানি উৎসাহ পূর্ণ উদ্দীপক পত্র লেখেন। প্রতাপ পৃথ্বীরাজের সেই পত্ৰখানি পাইয়া পূৰ্ব্বসঙ্কল্প পরিত্যাগ করেন এবং নব-উৎসাহে পুনরায় কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া কলম্বীর ও উদয়পুর পুনরুদ্ধার করেন। যদি পৃথ্বীরাজ "আকবর সকলকেই কিনিয়াছেন, কেবল উদয়ের পুত্রকে কিনিতে পারেন নাই,” ইত্যাদি উৎসাহপূর্ণ বাক্য না বলিতেন, এবং পুণ্যশ্লোক প্রতাপও সেই উৎসাহ হৃদয়ে ধারণ করিয়া কাৰ্য্যক্ষেত্রে উপস্থিত না হইতেন, তবে সস্তবতঃ হলদিঘাটের সঙ্গেই কলম্বীর ও উদয়পুরের