পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহিলুপ্তভা ও ধৈৰ্য্য । একটা গল্প আছে, এক সময়ে উজ্জয়িনীপতি রাজাধিরাজ বিক্রমাদিত্যের সহিত র্তাহার গুণ-গ্রামের বিবাদ উপস্থিত হইয়াছিল। গুণেরা অহঙ্কার করিয়া বলে,—“মহারাজ, আমরাই আপনার বল ।” রাজা বলিলেন,—তোমাদের এ অহঙ্কার বৃথা, একমাত্র “সহিষ্ণুতাই আমার বল।” পরীক্ষার জন্য রাজা তাহদিগকে একে একে বিদায় দিলেন। শান্তি, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা প্রভৃতি সকলই গেল ; অবশেষে রাজ-লক্ষীও র্তাহাকে পরিত্যাগ করিলেন। অনন্তর সহিষ্ণুতা-দেবী রাজার নিকট বিদায় গ্রহণ করিতে আলিলেন ; রাজা তাহাকে বিদায় দিলেন না, বলিলেন, —“মাতঃ ! আমি তোমাকেমাত্র অবলম্বন করিয়া রহিয়াছি, তুমি আমাকে ত্যাগ করিতে পারিবে না।” সহিষ্ণুতা রহিলেন, কিন্তু অবশেষে যাবতীয় গুণগ্রাম বিক্রমাদিত্যের আশ্রয়ে থাকিতে বাধ্য হইল । বস্তুতঃ সহিষ্ণুতা অন্যান্য সৎপ্রবৃত্তির উৎসস্বরূপ । ইহা আত্ম-সংযম, আত্মত্যাগ, ক্ষমা, দৃঢ়তা প্রভৃতি গুণ-নিচয়ের আশ্রয় স্থল। যে স্থলে সহিষ্ণুতার অভাব, সেই স্থলে আত্ম-সংযম প্রভৃতি গুণাবলিরও অভাব পরিলক্ষিত হয়। সহনশীলতার 'সহিত এই সকল গুণের অচ্ছেদ্য-সম্বন্ধ। এই সম্বন্ধ কিরূপ, তাহা দেখা যাউক ।