পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহিষ্ণুতা ও ধৈর্য্য। ԳՓ: অন্যের কোনরূপ অনিষ্ট না করিয়া, স্বার্থসাধনে প্রবৃত্ত হওয়া দোষণীয় নহে। মানুষ যদি নিজ নিজ স্বার্থসাধনে রন্তু না থাকিত, তবে পৃথিবীর এত উন্নতি সাধিত হইত না। কিন্তু বড়ই আক্ষেপের বিষয় যে, যখন আমরা স্বার্থীন্ধ হই, তখন আমাদের হিতাহিতজ্ঞান একেবারেই বিলুপ্ত হইয়া যায়, আমরা অন্যের সুখ-দুঃখের প্রতি কটাক্ষও করি না। আমরা স্বার্থ-সাধনে প্রবৃত্ত হইয়া অতৃপ্তিকর লোভের বশবৰ্ত্তী হই, এবং অন্যের সর্বনাশ সাধন করিয়া আপন আপন অভীষ্ট সিদ্ধ করিতে প্রয়াস পাই । এই প্রকারের স্বার্থই আমাদিগকে নিরয়গামী করে। যে স্বার্থ অনোর সুখ-দুঃখের প্রতি লক্ষ্য করে না, তাহা ঘোর অনিষ্টদায়ক এবং ঈদৃশ স্বার্থসাধন নিতান্ত দোষণীয়। এইরূপ স্বার্থ হইতেই লোভ ও মোহের উৎপত্তি হয় এবং যখন এই তিনটীর একত্র সমাবেশ হয়, তখনই আমরা কেবল আত্মতৃপ্তি ও আত্মোদরপূরণই একমাত্র কৰ্ত্তব্য মনে করি, এবং “াময় সময় মোহান্ধ হইয়া অন্যের কীবননাশেও সমুদ্যত হই । এইরূপ স্বার্থপরতা নাদিরসাহের অভিযানসময়ে ভারতের সকল জাতির শরণ্য হইয়া উঠিয়াছিল, সেই জন্যই ভারতবাসী সেই দিন হইতে সুখ ও স্বাধীনতায় চিরতরে বঞ্চিত হইয়া আছে। এইরূপ স্বার্থে অন্ধ হইয়াই দুৰ্দ্ধৰ্য মহারাটাগণ রত্নগর্ভ। মিবারভূমিতে আপতিত হয়, এবং উহার শোণিতশোষণ করিয়া সর্বসংহারক দুর্ভিক্ষ উপস্থিত করে ; এইরূপ স্বার্থের দাস হইয়াই আততায়ী অভয়সিংহ স্বীয় জন্মদাতার হৃদয়শোণিত