নাম লেখো। বিধু বললে—লিখে দাও। ভালোই তো। ভালো নাম সবারই লেখো।
তিনখানা কাগজ লিখে নদীর ধারের রাস্তায় ভিন্ন ভিন্ন গাছে বেলের আঠা দিয়ে মেরে দেওয়া হোল।
দু’তিন দিন কেটে গেল!
কেউ এল না।
তিন দিন পরে একজন কালোমত রোগা লোক আমাদের চণ্ডীমণ্ডপের সামনে এসে দাঁড়ালো। আমি তখন সেখানে বসে পড়ছি। বললাম—কি চাও?
—বাবু, ইদিরভীষণ কার নাম?
—আমার নাম। কেন? কি চাই?
—একটা বাক্স আপনারা কুড়িয়ে পেয়েছেন?
আমার নামের বিকৃত উচ্চারণ করাতে আমি চটে গিয়েছি তখন। বিরক্তিভাবে বললাম—কি রকম বাক্স?
—কাঠের বাক্স।
—না। যাও।
—বাবু, কাঠের নয়, টিনের বাক্স।
—কি রংয়ের টিন?
—কালো।
—না যাও—
—বাবু দাঁড়ান, বলছি। মোর ঠিক মনে হচ্ছে না। এই রাঙা মত—
—না, তুমি যাও।
লোকটা অপ্রতিভভাবে চলে গেল। বিধুকে খবরটা দিতে সে বললে—ওর নয় রে। লোভে পড়ে এসেছে। ওর মত কত লোক আসবে!
আবার তিন চার দিন কেটে গেল।
১০১