পাতা:নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাকরির খোজে। বন্যায় নিরাশ্রয় হয়ে নির্বিষখোলার গোয়ালাদের চালাঘরে সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছে। এই বর্ষায় না আছে কাপড়, না আছে ভাত। দু’আড়ি ধান ধার দিয়েছিল গোয়ালারা দয়া করে, সেও এবার ফুরিয়ে এল। চাকরি না করলে স্ত্রী-পুত্র না খেয়ে মরবে। বাবা বললেন-আজ এখানে দুটি ডাল-ভাত খেও । লোকটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললে-তা খাবো। খাচ্ছিই তো আপনাদের। দুরবস্থা যখন সুরু হয়। ঠাকুরমশাই, এই গত জষ্টি মাসে নির্বিষখোলার হাট থেকে পটল বেচে ফিরচি ; ছোট মেয়েটার বিয়ে দেবো বলে গহনা গড়িয়ে আনছিলাম। প্ৰায় আড়াই শো টাকার গহনা আর পটাল-বেচা নগদ টাকা পঞ্চাশটি-একটা টিনের বাক্সের ভেতর ছিল। সেটা যে হাটের থেকে ফিরবার পথে গরুর গাড়ি থেকে কোথায় পড়ে গেল, তার আর খোেজই হোল না। সেই হোল সুরু-আর তারপর এল। এই বন্যে বাবা বললেন-বল কি ? আতগুলো টাকা গহনা হারালে ? —আদেষ্ট, একেই বলে বাবু আদেষ্ট । আজ সেগুলো হাতে 9吋夺了可一 আমি কান খাড়া করে শুনছিলাম। বলে উঠলাম-কি রংয়ের বাক্স ? -नबूल निद्ध। বাবা আমাদের বাক্সের ব্যাপার কিছুই জানেন না। আমায় ধমক দিলেন—তুমি পড়ে না, তোমার সে খোজে কি দরকার ? কিন্তু আমি ততক্ষণে বইপত্তর ফেলে উঠে পড়েছি। একেবারে একছুটে বিধুর বাড়ি গিয়ে হাজির। বিধু আমার কথা শুনে বললেদাঁড়া, সিধু আর তিনুকেও নিয়ে আসি। ওরা সাক্ষী থাকবে কি না ? বিধুর খুব বুদ্ধি আমাদের মধ্যে। ও বড় হােলে উকিল হবে, जवांछे वालडां । আধঘণ্টার মধ্যে আমাদের চণ্ডীমণ্ডপের সামনে বেশ একটি )●や