কোন্নগর ষ্টেশনে নামিয়া রাজীবনগর যাইতে মনটা বড় খারাপ হইয়া গেল। ষ্টেশনের সংলগ্ন তো নয়ই। পাকা আড়াই মাইল দূরে। কাঁচা রাস্তা কাদায় ভর্তি। যেমন জঙ্গল, তেমনি মশা।
খোঁজ করিয়া এক গ্রাম্য ডাক্তারবাবুকে জমির মালিক হিসাবে পাওয়া গেল। তিনি একখানা টিনের ঘরে রোগীপত্র দেখিতেছিলেন, যাহাদের সংখ্যা আর ডাক্তারের পক্ষে ঈর্ষার বস্তু নহে। আমার দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—কাকে চাচ্চেন?
বিনীতভাবে বলিলাম—আপনারই নাম, মনীন্দ্র ঘটক? আমি যশোর থেকে আসচি। আপনি কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন—
ডাক্তারবাবু নিস্পৃহভাবে বলিলেন—ও—
এর পরক্ষণেই রোগীদের দিকে মনোযোগ দিলেন পুনরায়।
আমি বড় আশা করিয়াই গিয়াছিলাম। কলিকাতা হইতে মাত্র নয় মাইল দূরে ষ্টেশনের গায়ে জমি, এ জমিটা লইতে পারিলে নানাদিক দিয়াই সুবিধা। কিন্তু জমির মালিক অত নিস্পৃহ কেন? তবে কি বিক্রয় করিবেন না স্থির করিলেন?
প্রায় মিনিট দশেক কাটিয়া গেল।
দাড়াইয়াই আছি। কেউ বসিতেও বলে না।
আবার সাহস সঞ্চয় করিয়া বলিলাম—আমি—মানে, এই ট্রেনেই আবার—মানে—
ডাক্তারবাবু মুখ তুলিয়া বলিলেন—কি বলচেন?
—জমিটা—
—কোন্ জমি?
—কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন—ষ্টেশনের সংলগ্ন—কৃপালনী কলোনি—
—ও—
আবার রোগীদিগের প্রতি তাঁহার দৃষ্টি নিবদ্ধ হইল। আমিও