পাতা:নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতটা সুবিধাসম্পন্ন যে জমিটুকু, তাহার খোদ মালিককে বিরক্ত করিতে সাহস করিলাম না । लभ भिनि कॉलि । এবার ডাক্তারবাবুই আমাকে বলিলেন-তা, বসুন । বসিবার অনুমতি পাইয়া কৃতাৰ্থ হইলাম। অনেকক্ষণ হইতে খাড়া দাড়াইয়া আছি। বসিবার মিনিট দুই পরে আমি বলিলামইয়ে-জমিটার কথা-মানে ডাক্তারবাবু মুখ তুলিয়া বলিলেন-কি বলচোন ? -জমিটার কথা বলছিলাম । মানে-একবার দেখলে ভালো হয় । এদিকে বেলা হয়ে যাবে -জমিটা দেখবেন ? ও কাৰ্তিক, কাতিক ! যাও, এই বাবুকে জমিটা দেখিয়ে আনে । ভাবিলাম, তাইতো ইহা আবার কি। ডাক্তারখানার পাশের ঘরে বড়-বড় হরফে ইংরাজীতে লেখা আছে বটে, ‘দি নিউ ন্যাশনাল zThe St&" | গঙ্গার ধারে বিরাট ভূখণ্ড লইয়া এই উপনিবেশ গড়িয়া উঠিবে— কিন্তু গঙ্গা হইতে বাজীবনগরই তো দেখিতেছি আড়াই মাইল দূরে। তবে ইহাও হইতে পারে, দি নিউ ন্যাশনাল ল্যাণ্ড ট্রাষ্টের আপিস এখানে, জমি গঙ্গার ধারে । কাৰ্তিক নামধেয় লোকটি ডাক্তারবাবুর আহবানে এইমাত্র আসিয়াছিল। বলিল—কোন জমি বাৰু ? --আরে, ওই যে বরোজের পশ্চিম গায়ে-चत्रि ? -আ মলে| যা । হা করে সঙের মত দাড়িয়ে রইলে কেন ? হাঁ, জমি। কোথাকার ভূত ? বাড়ির চাকরিটা বোধ হয় বোকা, প্রভুর এমন মূল্যবান ভালো বহু-বিজ্ঞাপিত ভূমিখণ্ডের সম্বন্ধে কোন খবর রাখে না কেন ? W