বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ত্রিশটা। জমিদারীও ছিল, কুঠীর পূর্বদিকের বড় হলদে ঘরে (যার সামনে বেগুনি প্যাটেন ফুলের প্রকাণ্ড গাছ, কি ফুল জানি না, আমরা বলিতাম ‘প্যাটেন’ ফুল) কুঠীয়াল সাহেবের নায়েব ষড়ানন বক্‌সি কাছারি করিতেন, এবং প্রজাপত্র ঠেঙ্গাইতেন। লালমন্ সাহেব কোন্ স্থান হইতে আসিয়াছিলেন বলিতে পারিব না, তবে তাঁহার বৈঠকখানায় একখানা বড় ছবির তলায় লেখা ছিল “P. Farmour of Bournemouth, England.” ফালমনের জন্ম নীলগঞ্জেই। তাঁহাদের সকলেই যশোর জেলার পাড়াগাঁয়ের কৃষকশ্রেণীর ভাষায় কথা বলিতেন।

 —কি পড়ো?

 —মাইনর সেকেন্ ক্লাসে।

 —ইউ, পি, পাশ করেচ?

 —হ্যাঁ।

 —বিত্তি পেয়েছিলে?

 —না।

 —আমার ইস্কুলে পড়ো?

 —আপনার ইস্কুলে না। জেলাবোর্ডের স্কুলে, চেতলমারির হাটতলায়।

 —ও বুঝিচি। তবে তোমার বাড়ী এখানে না?

 —আজ্ঞে না। আমার পিসির বাড়ী এখানে।

 —কেডা তোমার পিসে?

 —৺ভূষণচন্দ্র মজুমদার।

 —আরে মজুমদার মহাশয়ের বাড়ী এসেচ তুমি? বেশ বেশ, নাম কি?

 —শ্রী রতনলাল চক্রবর্তী।

 —পিতার নাম?

 —শ্রীমাখনলাল চক্রবর্তী।

১২