ঊষর রুক্ষ প্রান্তরে যাবো বটে, কিন্তু কি পাবো সেখানে? জহরলালের সঙ্গে হয়তো পরিচয় হবে; রাজেন্দ্র প্রসাদের সঙ্গে গল্পগুজব করা যাবে, লর্ড মাউণ্টব্যাটেনের সঙ্গে এক টেবিলে চা পানের সৌভাগ্য হয়তো হয়ে যাবে। মনে মনে যে এসব নেই সে কথা অস্বীকার করলে মিথ্যে কথা বলা হবে।
হরিপদ বাঁড়ুয্যে এসে বললে—ভায়া, দিল্লী যাচ্ছ না কি শুনচি?
—যাবো ভাবছি!
—কবে যাবে?
—কাল সকালে।
—তারা খরচপত্র দেবে তো?
—না, তারা কেন দেবে?
—বলো কি, সব খরচ তোমাদের করতে হবে? নইলে ভাবছিলাম তোমাদের রিজার্ভ গাড়িতে না হয় যাবো তোমাদের সঙ্গে। ভাড়াটা লাগতো না।
—রিজার্ভ গাড়িতে গেলেও ভাড়া লাগে দাদা। হরিপদ বাঁড়ুয্যে অতিমাত্রায় বিস্মিত হয়ে বললে—কেন? ভাড়া তো তোমাদের জমা দেওয়াই আছে।
—আছে তো বটেই, কিন্তু যারা সে ভাড়াটা দিয়েছে তারাই যাবে সে গাড়িতে, তোমাদের নেবে কেন?
—তুমি যদি নেও?
—ভাড়া দিতেই হবে। বিনা ভাড়ায় যাওয়া চলে না।
—তবে আর রিজার্ভ মানে কি হোল!
হরিপদ বাঁড়ুয্যে অপ্রসন্নমুখে তামাক খেতে লাগলেন। রিজার্ভ গাড়ি সম্বন্ধে তাঁর ধারণা একটু অদ্ভূত রকমের সন্দেহ নেই। ভাবছি যে ওঁর ভ্রান্ত ধারণার একটু সংশোধন করে দেওয়া দরকার।
এমন সময় গফুর পিয়ন এসে বললে—বাঁড়ুয্যে মশাই বাড়ি আছেন?
৫৯