—সে আর আপনি কোথায় সন্ধান করবা? সে ইদুঁরে-বাঁদরে নিয়ে গিয়েছে। বাদ দ্যান।
—তাহলেও তুই আসিস্, বুঝলি?
বলাই চলে গেলে বদ্যিনাথ কাকা বললে—আরে অম্বিক, তোমাকে একটা কথা বলি। ও টাকাটা তুমি ওকে আর দিও না। দেখতো ওর বুদ্ধিশুদ্ধি? অতগুলো টাকা নাকি ইঁদুরে নিয়ে গিয়েছে। ওকে আজ টাকা দেবে, কাল ওর ভগ্নীপতি ওর হাত থেকে ভুলিয়ে টাকাগুলো নেবে। মাঝে পড়ে—ন দেবায়, ন ধর্মায়। ছেলেমানুষের হাতে অতগুলো টাকা দিতে আছে? বিশেষ করে ওর মা মরণকালে যখন বলে যায়নি, তখন তোমার টাকার কথা কবুল করবারই বা দরকার কি? কেউ যদি এর পরে বলে, তখন বললেই হবে ওর মা জামাই-বাড়ি যাবার সময় গচ্ছিত টাকা আমার কাছ থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। খাতায় তুলিনি ও টাকা। মুখে-মুখে টাকা রাখা। কে সাক্ষী আছে টাকার?
বাবা বললেন—বদ্যিনাথ, সাক্ষী নেই বলচো। তখন চণ্ডীমণ্ডপে কত লোক ছিল জানো তো?
—তারা জানে না কিসের টাকা। তুমি মহাজনী করো, তোমার দেনার টাকা তো হতে পারে।
—খাতায় দেবার কথা প্রমাণ করতে পারবে?
—তা হাতচিঠি একখানা তৈরী করে ফেলি আজই। দূর দূর আগের তারিখ দিই।
—পাগল। টিপসই কে দেবে?
—মরা লোকের টিপসই বুঝে নিচ্ছে কে? কোর্টে তার টিপসই রুজু করাচ্ছে কে? আমার টিপসই যে হাজারির টিপসই নয় তাই প্রমাণ হচ্ছে কিসে থেকে?
বদ্যিনাথ কাকা ধড়িবাজ ঘুঘু লোক। ওর পেটে বহু অন্যায়
৮১