পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ । ه $ সাধু। মাঠাকুরুণের নাকে হাত দিয়া দেখ দেখি, মৃত শরীর অপেক্ষাও শরীর স্থির দেখিতেছি । সর। [ নামিকায় হস্ত দিয়া রেৰতীর প্রতি মৃদুস্বরে ৷ নিশ্বাস বেস বহিতেছে কিন্তু মাথা দিয়ে এমন অtগুন বাহির হতেচে যে আমার গলা পুড়ে যাচ্যে। সাধু। গোমস্ত মহাশয় কবিরাজ অন্তে গিয়ে সাহেবদের হাতে পড়লেন নাকি ? অামি কবিরাজের বাসায় যাই । ( * इीन ) আহা ! প্রাণনাথ ! যে জননীর অনাহারে এত খেদ করিতেছিলে, যে জননীর ক্ষীণতা দেখিয়া রাত্রি দিন পদসেবায় নিযুক্ত ছিলে, যে জননী কয়েক দিবস তোমাকে ক্রোড়ে না করিয়া নিদ্র। যাইতে পারিতেন না ; সেই জননী তোমার নিকটে মূচ্ছি ত হইয়া পতিত আছেন, এক বার দেখিলে না ! [ সাবিত্রীকে অবলোকন করিয়া । আহা ! হা ! বৎসহার হাম্মারবে ভ্রমণ করিণী গাভী সপ{ঘাতে পঞ্চতৃ প্রাপ্ত হইয়া প্রান্তরে যেরূপ পতিত হইয়া থাকে, জীবনধার পুত্ৰশোকে জননী সেইরূপ ধরাশায়িনী হইয়া আছেন—প্রাণনাথ ! একবার নয়ন মেল্যে দেখ, একবার দাসীরে অমৃত বচনে দাসী বল্যে ডেকে কর্ণকুহর পরিতৃপ্ত কর—মধ্যাহ্ন সময় আমার মুখসূৰ্য্য অস্তগত হইল— তামার বিপিনের উপায় কি হইবে । [ রোদন করিতে করিতে নবীনমাধবের ৰক্ষের উপর পতন । সর । ও গে। তোমরা দিদিকে কোলে কর্যে ধর । সৈরি । [ গাত্ৰোত্থান করিয়া ] আমি অতি শিশুকালে পিতৃহীন হয়েছিলাম, আহ ! এই কাল নীলের জন্যেই পতাকে কুটিতে ধর্যে নিয়ে যায়, পিতা আর ফিরিলেন না।