পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ । సి { ভূমিতে শয়ন) মা ! আমি তোমার পাদপদ্মে প্রাণত্যাগ করিব । [ ক্ৰন্দন ] সাবি। খুব হয়েচে, গম্ভনি বিটি মরে গিয়েছে, কত্তা আমার স্বর্গে গিয়েচেন, তুই আবাণী ন কে যাবি [ হাস্য করিতে করিতে কর লালি ] সৈরি । ( গাত্রোথন করিয়া ) তাহ ! আহা ! সরলত। তামার অতি সুশীলা, আমার শাশুড়ির সাত আদরের বউ, জননীর মুখে কুবচন শুনে অতিশয় কাতর হয়েচে ! ( সাবিত্রীর প্রতি ) মা ! তুমি আমার কাছে এস । সাবি। দাই বউ ! ছেলে এক রেখে এলে বাছা, আমি যাই । ( দৌড়ে নবীনের নিকটে উপবেশন ) রেবতী । ( সাবিত্রীর প্রতি ) হ্যাগী মা ! তুমি যে বল্যে থাক, ছোট বউর মত বউ গায় নেই, ছোট রউরি না খেবয়ে তুমি যে খাও না, তুমি সেই ছোট বউরি খাম্কি বল্যে গাল দিলে। হাগা মা ! তুমি মোর কথা শোনচো না-মোরা যে তোমাগার খায়ে মানুষ, কত যে খাতি দিয়েচে । সাবি। আমার ছেলের আট কৌড়ের দিন আসিস্ তোরে জলপান দেব । খুড়ী। বড় দিদি ! নবীন তোমার বেঁচে উর্দুবে, তুমি পাগল হইও না ! সাবি। তুমি জানলে কেমন করে ? ও নামতো আর কেউ জানে না, আমার শ্বশুর বলেছিলেন, বউমার ছেলে হলে “ নবীনমাধব , নাম রাখবো। আমি খোকা পেয়েচি ঐ নাম রাখবো । কত্তা বলতেন কবে খোকা হবে “ নবীনমাধব, বল্যে ডাকবো । (ক্ৰন্দন ) যদি বেচে থাকৃতেন আজ সে সাধু পুরতে । ( নেপথ্যে শব্দ )