পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দৰ্পণ । > -t; জী-চীৎকার কর্যে কঁদিতে লাগলাম, তবু আমীরে শাক পরয়ো দিলে-প্রদীপে পুড়িয়ে ফেলিচি তবু আছে ( দন্ত দ্বারা হস্তের রজজু ছেদন ) বিধবা হয়ে গহন পর সাজে ও ন, সয়ও না, হাতে ফোস্ক হয়েচে (রোদন? আমার ; শাক পরা যে যুচ্য়েচে, তার হাতের শাক যেন তেরাত্রের । মধ্যে নবে (মাটিতে অঙ্গুলি মটকায়ন) আপনিই বিছানা করি (মনে মনে শয্যা পাতন ) মাজুরটো কাচা হয় নাই হস্ত বাড়াইয়া ( বালিস্টে নাগাল পাইনে- কাতা খান ময়লা হয়েচে, ( হস্ত দিয়া ঘরের মেজে ঝাড়ন ) বাবারে শোয়াই (আস্তে আস্তে নবীনের মৃত শরীর ভূমিতে রাথিয়া) মীর কাছে তোমার ভয় কি বাবা ! সচ্চন্দে শুয়ে থাক থুথকুড়ি দিয়ে যাই (বুকে থুথ দেওন) বিবি বিটি আজ যদি আসে আমি তার গল টিপে মেরে ফেলবো – বাছারো চোক ছাড়। করবে না, আমি গণ্ডি দিয়ে যাই অঙ্গুলি দ্বারা নবীনের মৃত শরীর বেড়ে ঘরের মেজেয় দাগ দিতে দিতে মন্ত্র পঠন । সাপের ফেনা বাঘের নাকৃ। ধূনার আগুন চড়োক পাক্ ॥ সাত সতিনের সাদা চুল । ভাটির পাতা ধুতরো ফুল । নীলের বিচি মরিচ পোড় । মড়ার মাথ! মাদার গোড় ॥ হন্নে কুকুর চোরের চণ্ডী । য়মের দাতে এই গণ্ডি { { সরলতার প্রবেশ ) সর । এরা সব কোথায় গেলেন—আহা ! মৃত শরীর , বেষ্টন করিয়া ঘুরিতেছেন—বোধ করি প্রাণকান্ত পথুশ্রান্তে | ১০

  • " ;

%