পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ ధి సి হয়্যেও জীবিত থাকিতে পারিতাম, কিন্তু তোমাকে স্বহস্তে বধ কর্যে জামার বুক ফেটে গেল-হো, ও, মা ! (সরলতাকে আলিঙ্গন পূর্বক ভূতলে পতনীনস্তর মৃত্যু ( বিন্দু। ( সাবিত্রীর গাত্রে হস্ত দিয়া ) যাহা বলিলাম তাছাই ঘটিল! মাতার জ্ঞান সঞ্চারে প্রাণ নাশ হইল ! কি বিড়ম্বন ! জননী আর ক্রোড়ে লয়ে মুখ চুম্বন করিৰেন না ! মা ! আমার মা বলা কি শেষ হইল ? ( রোদন ) জন্মের মত জননীর চরণধুলি মস্তকে দি ! ( চরণের ধূলি মস্তকে দেওন ) জন্মের মত জননীর চরণরেণু ভোজন করিয়া মানবদেহ পবিত্র করি । ( চরণের ধূলি ভক্ষণ ) (মৈরিন্ধীর প্রবেশ) সৈরি । ঠাকুর পে ! আমি সহমরণে যাই, আমারে বাঁধ। দিও না । সরলতার কাছে বিপিন আমার পরম সুখে থাকবে – একি ! একি শাশুড়ি বয়্যে এরূপ পড়ে কেন ? বিন্দু। বড়বউ, মাতাঠাকুরাণী সরলতাকে বধ করিয়াছেন, তৎপরে সহসা জ্ঞান সঞ্চার হওয়াতে, আপনিও সাতিশয় শোকসন্ত প্ত হইয়া প্রাণ ত্যাগ করিয়াছেন। সৈরি । এখন ! কেমন কর্যে ? কি সৰ্ব্বনাশ! কি হলো ! কি হলো ! আহা ! আহা ! ও দিদি আমার যে বড় সাধের চুলের দড়ি, তুমি যে অাজে খোপায় দেউনি, আহ ! আহা ! আর তুমি দিদি বল্যে ডাকবে না (রোদন ) ঠাকুরুণ, তোমার রামের কাছে তুমি গেলে আমায় যেতে দিলে না। ও মা ! তোমায় পেয়ে আমি মায়ের কথা যে এক দিন ও মনে করিনি !