বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৫)
প্রথম অঙ্ক।

দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক।

সাধুচরণের বাড়ী।

(লাঙ্গল লইয়া রাইচরণের প্রবেশ)

 রাই। (লাঙ্গল রাখিয়া) আমীন সুমুন্দি য্যান বাগ্‌, যে রোক্ করে মোর দিকি আস্‌চিলো বাবা রে! মুই বলি মোরে বুঝি খালে। সাঁপোল তরাল ৫! কুলো ভুঁই যদি নীলি গ্যাল তবে মাগ ছ্যালেরে খাওয়াব কি। কাঁদাকাটি করে দ্যাক্‌বো যদি না ছাড়ে তবে মোরা কাযিই দ্যাশ্‌ ছাড়ে যাব।

(ক্ষেত্রমণির প্রবেশ)

 দাদা বাড়ি এয়েচে?

 ক্ষেত্র। বাবা বাবুদের বাড়ী গিয়েছে, আলেন, আর দেরি নাই। কাকিমারে ডাক্‌তি যাবা না? তুমি বক্‌চো কি?

 রাই। বক্‌চি মোর মাতা। একটু জল আন্‌দিনি খাই, তেষ্টায় যে ছাতি ফেটে গ্যাল। সুমুন্দিরি—অ্যাত করি বল্লাম, তা কিছুতেই শোন্‌লে না।

(সাধুচরণের প্রবেশ এবং ক্ষেত্রমণির প্রস্থান)

 সাধু। রাইচরণ, ও এত সকালে যে বাড়ী এলি?

 রাই। দাদা, আমীন শাল সাঁপোল তলার জমিতি দাগ মরেচে। খাব কি, বচ্ছোর যাবে কেমন করে। আহ! জমিতো না, য্যান সোণার চাঁপা। এক কোন্‌ কেটে মহাজন কাৎকত্তাম। খাব কি, ছ্যালে পিলে খাবে কি, এতডা পরিবার না খ্যাতি পেয়ে মারা যাবে, ও মা! রাত পোয়ালি যে দু কাটা