পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిపి नैौल-झके । তাতো মিথ্যা নয়, আমার এক এক দিন এক এক বৎসর গিয়েছে।—( দীর্ঘ নিশ্বাস ) নাথের আসার অাশা তো নিমূল হইল ; এক্ষণে যে মহৎ কার্য্যে প্রবৃত্ত হয়েছেন তাহাতে সফল হইলেই উীর জীবন সার্থক-প্ৰাণেশ্বর, অামাদের নারীকুলে জন্ম, আমরা পাচ বয়স্যtয় একত্রে উদ্যানে যাইতে পারি না, আমরা নগর ভ্রমণে অক্ষম, আমাদিগের মঙ্গলসূচক সভা স্থাপন সম্ভবে না, আমাদের কালেজ নাই, কাছারী নাই, ব্রাহ্মসমাজ নাই—রমণীর মন কাতর হইলে বিনোদনের কিছু মাত্র উপায় নাই, মন অবোধ হইলে মনেরতে দোষ দিতে পারি না। প্রাণনাথ আমাদের এক মাত্র অবলম্বন--- “স্বামীই ধ্যান, স্বামীই জ্ঞান, স্বামীই অধ্যয়ন, স্বামীই উপজর্জন, স্বামীই সভা, স্বামীই সমাজ, স্বামীরত্বই সতীর সর্বস্বধন। হে লিপি, তুমি আমার হৃদয়বল্লভের হস্ত হইতে আসিয়াছ, তোমাকে চুম্বন করি (লিপি চুম্বন) তোমাতে আমার প্রাণকান্তের নাম লেখা আছে, তোমাকে তাপিত বক্ষে ধারণ করি ( বক্ষে ধারণ ) আহা ! প্রাণনাথের কি অমৃত বচন, পত্ৰখানি যত পড়ি ততই মন মোহিত হয়, আর এক বার পড়ি ( পঠন )

  • প্রাণের সরলা ! -

তোমার মুখারবিন্দ দেখিবার জন্য আমার প্রাণ যে কি পৰ্য্যন্ত ব্যাকুল হইয়াছে তাহা পত্রে ব্যক্ত করা যায় না । তোমার চন্দ্ৰানন বক্ষে ধারণ করিয়া আমি কি অনিৰ্ব্বচনীয় সুখ লাভ করি । মনে করিয়াছিলাম সেই সুখের সময় আসিয়াছে, কিন্তু হরিষে বিষাদ, কালেজ বন্ধ হইয়াছে, কিন্তু বড় বিপদে পড়িয়াছি, যদি পরমেশ্বরের আনুকূল্যে উত্তীর্ণ হইতে না পারি তবে আর মুখ দেখাতে পারিব না । নীলকর সাহে