পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 * নীল-দপণ । পাট করে চক্ষের জল ফেলিয়াছেন, ইন্দ্রাবাদে যাইতে হইলে ক্ষিপ্ত হইবেন, কয়েদ হলে জলে ঝাপ দিবেন । হ ! আমি জীবিত থাকিতে পিতার এই দুৰ্গতি হবে । মাত। আমার পিতার ন্যায় ভীতা নন, র্তাহার সাহস আছে, তিনি একেবারে হতাশ হন না, তিনি একাগ্রচিত্তে ভগবতীকে ডাকিতেছেন। কুরঙ্গনয়ন আমার দাবাগ্নির কুরঙ্গিনী হয়েছেন, ভয়ে ভাবনায় পাগলিনীপ্রায়, নীলকুটির গুদামে তার পিতার পঞ্চভূ হয়, তার সতত চিন্তা, পাছে পতির সেই গতি ঘটে । আমি কত দিকে সান্তুনা করিব, সপরিবারে পলায়ন করা কি বিধি, না, পরোপকার পরম ধৰ্ম্ম, সহস। পরাজ খ হব না,—শামনগরের কোন উপকার করিতে পারিলাম না, চেষ্টার অসাধ্য ক্রিয় কি, দেখি কি করিতে পারি— ( দুই জন অধ্যাপকের প্রবেশ । ) প্রথম । ওহে বাপু, গোল কচন্দ্র বসুর ভবন এই পল্লীতে বটে—পিতৃব্যের প্রমুখাত শ্রুত আছি বস্তুজ বড় সাধু ব্যক্তি, কায়স্থ কুলতিলক । নবীন। (প্ৰণিপাত করিয়া) ঠাকুর, আমি তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র। প্রথম । বটে, বটে, আহা হা, সাধু সাধু, এবম্বিধ সুসস্তান সাধারণ পুণ্যের ফল নয় ; যেমন বংশ– “ অস্মিংস্থ নিগুৰ্ণং গোত্ৰে নাপত্যসুপজায়তে । তাকরে পদ্মরাগাণাং জন্ম কাচমণেঃ কুতঃ ৷ ” শাস্ত্রের বচন ব্যর্থ হয় না, তর্কালঙ্কার ভায় শ্লোকট। প্রণিধান করিলে না, হঃ, হঃ, হঃ, ( নস্য গ্রহণ ) দ্বিতীয় । তামরা সৌগন্ধ্যার অরবিন্দ বাবুর আহূত, অদ্য গোলকচন্দ্রের অালয় অবস্থান,তোমার দিগের চরিতার্থ করিব । নবীন। পরম সৌভাগ্যের বিষয়, এই পথে চলুন। i সকলের প্রস্থান ।